1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
আরো ৩৭ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ সরবরাহ কম তাই কমছে না পিয়াজের দাম - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান

আরো ৩৭ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ সরবরাহ কম তাই কমছে না পিয়াজের দাম

  • Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৪৩০ Time View

বাজারে সরবরাহ না বাড়ায় পিয়াজের দাম কমার লক্ষণ নেই। যে পরিমাণ পিয়াজ প্রতিদিন বাজারে আসছে তার চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অস্বাভাবিক দাম এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পিয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে, মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি জানতে দুইদিনে ৪৭ আমদানিকারককে জেরা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। দুইদিনে তাদের জেরা করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাদের হাতে এখন পিয়াজের কোনো মজুত নেই। আমদানি করা পিয়াজ আসার কয়েক দিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন ভারত থেকে আর পিয়াজ আমদানি হচ্ছে না।

শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমদানিকারকরা বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আনছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

সরবরাহ কম, তাই দাম কমছে না: বাজারে পিয়াজের সরবরাহ না বাড়ায় দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দাম বেশি হওয়ায় পাড়া মহল্লার বেশিরভাগ দোকানে এখন পিয়াজ রাখা হচ্ছে না। এমনটি কাঁচা পণ্যের দোকানেও অনেকে পিয়াজ রাখছেন না। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডির শুক্রাবাদ, রাজাবাজার, রায়ের বাজার, মিরপুর ১ কাঁচাবাজারে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেশি পিয়াজ মানভেদে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পিয়াজ ১৯০ থেকে ২০০, চীন থেকে আসা পিয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০, মিশর থেকে আসা পিয়াজ ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় যেমন ক্রেতা কম, তেমনি ক্রেতা না থাকায় দোকানে পিয়াজের পরিমানও কম লক্ষ্য করা যায়। রায়ের বাজারের পিয়াজের খুচরা বিক্রেতা হাসান জানান, বাজারে দেশি পিয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছে না। সেইসঙ্গে অন্য পিয়াজেরও দাম বেড়েছে। যেসব ব্যবসায়ীরা সোমবার পাইকারি বাজার থেকে পিয়াজ কিনেছেন, তাদের ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ এখন পাইকারি বাজারে দাম অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, যেসব ব্যবসায়ী পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের আড়তে পিয়াজ নেই। মিয়ানমার ও অন্য দেশগুলো থেকে যে পরিমান পিয়াজ আসছে তা প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে অনেক কম। এছাড়া নতুন পিয়াজ বাজারে আসছে খুবই অল্প। পাতাসহ দেশি পিয়াজ বিক্রি করছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ৫শ’ গ্রাম ওজনের এক আটি ১শ’ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, দাম বাড়ায় আবাদিরা ক্ষেত থেকে তুলে গাছসহ অপরিপক্ক পিয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। তবু চাহিদার তুলনায় বাজারে পিয়াজ কম আসায় দাম বাড়তি। শুক্রাবাদ বাজারের আলী স্টোরের মালিক পাবেল রহমান বলেন, আগে দিনে বিক্রি করতাম ৪৫ থেকে ৫০ কেজি পিয়াজ। এখন বিক্রি হয় ৫/৬ কেজি। তাই পিয়াজ আনাই বাদ দিয়ে দিয়েছি। পিয়াজ কিনে না মানুষ। আড়াইশ’ গ্রাম পিয়াজ নিচ্ছে প্রতিটি পিয়াজ দেখে দেখে। তাই দাগওয়ালা পিয়াজ বিক্রি হয় না। লোকসান হয়। একই সুরে কথা বলেন, কাওরান বাজারের একাধিক পাইকারি বিক্রেতা। বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, আগে দিনে বিক্রি হতো ৫০ থেকে ৬০ বস্তা পিয়াজ আর এখন বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ বস্তা। রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকা। এই টিসিবি’র পিয়াজের জন্য সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সাড়ে ১১ টায় পিয়াজ পেয়েছেন আব্দুর রহমান। প্রায় ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, সোমবারেও পিয়াজের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। আড়াই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর পিয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় চলে যান। গতকাল তিনি অনেক কষ্ট হলেও ৪৫ টাকা দরে ১কেজি পিয়াজ সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও লাইন ছাড়া লোক এসেও পিয়াজ নিয়ে যায়।
আব্দুর রহমানের এই কথার প্রমাণ মেলে সেখানে। গতকাল দেখা যায়, পিয়াজের ট্রাকের চারপাশে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক ব্যক্তি। মাঝে মধ্যেই লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা প্রতিবাদ করলেও ফের একই চিত্র। পিয়াজ বিক্রি শেষ হয় দুপুর ২টার দিকে। কিন্তু তখনও লাইনে দাঁড়ানো ছিলেন প্রায় ৪০ জন। মিরপুর-১ সনি সিনেমা হলের পাশের সড়ক। টিসিবির পিয়াজ বিক্রি চলছিলো। শীতের হালকা রোদ হলেও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ঘেমে নাজেহাল হন অনেকে। নারী ও পুরুষদের লম্বা লাইন দেখা যায় সেখানে। নারীদের কারও কারও কোলে শিশু। দুপুর ১২টার দিকে পুরুষদের লাইনে ১শ’ ৪২ জন ও নারীদের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৬৪ জন। আমিনুর রহমান একজন লেগুনা চালক। তিনি বলেন, ১ কেজি পিয়াজ কিনতে চলে গেলো ২/৩ ঘণ্টা। কাজ করবো কখন। সাড়ে ১০ টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। ২ ঘণ্টা পরেও মিলছে না পিয়াজ। এখন পিয়াজ না কিনে যাইতে পারতেছি না আবার আমি না গেলে লেগুনাও চালু হবে না।
৪৭ আমদানিকারকের কাছে মজুত নেই: ওদিকে পিয়াজের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির রহস্য উদঘাটনে ৪৭ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জেরা শেষ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। প্রাথমিক তদন্তে এসব আমদানিকারকের কাছে পিয়াজ মজুতের কোনও তথ্য পাননি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আমদানিকারকরা গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আমদানি করা পিয়াজ তারা সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি করে দেন বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে। পাইকারি ক্রেতার কাছে বিক্রির তথ্য, আমদানি তথ্য, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ এ সংক্রান্ত নানা তথ্য তারা গোয়েন্দাদের দিয়েছেন। তারা বলেছেন, কেবলমাত্র ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়াতে বাজার মূল্য চড়া হয়েছে। ভারত যদি আবার পিয়াজ দেয় তবেই বাজারে পিয়াজের দাম সহনীয় হবে। এছাড়া তুরস্ক, মিয়ানমারসহ আরও কিছু দেশ থেকে শিগগিরই কয়েক হাজার টন পিয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এসব পিয়াজ আসামাত্র দাম কিছুটা সহনীয় হবে। এদিকে, গতকাল দিনভর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ৩৭ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশ থেকে ৩৪১ আমদানিকারকের তথ্য উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে ৪৭ জন বড় আমদানিকারককে আমরা তলব করেছি। অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন তথ্য জেনেছি। যেহেতু তারা বড় আমদানিকারক তাই চেইন অব কমান্ডে তাদের সঙ্গে আগে কথা বলেছি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তারা কি পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করেছেন। আমদানি করা পিয়াজের খরচসহ দাম কত পড়েছে। পাইকারি বিক্রেতার কাছে তারা কত লাভ রেখে বিক্রি করেছেন। এছাড়া তাদের কাছে কোনো পিয়াজ মজুত আছে কিনা। প্রাথমিকভাবে আমদানিকারকরা আমাদেরকে বলেছেন, তাদের কাছে কোনো মজুত নেই। আমদানি করা পিয়াজ তারা খুব কম সময়ের মধ্যে বিক্রি করে দেন। তারপরও আমার তাদের দেয়া সমস্ত তথ্য একত্রিত করে দেখবো আমদানি ও বিক্রির সঙ্গে কোনো তফাৎ আছে কিনা। প্রয়োজনে আমরা আমদানিকারকরা যাদের কাছে বিক্রি করেছেন তাদেরকে খোঁজে বের করে দেখব মজুত আছে কিনা। ডিজি বলেন, আমাদের মুল উদ্দেশ্য কোনো পিয়াজ যাতে কারো কাছে মজুত না থাকে। যদি কারো কাছে মজুত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমদানিকারকদের আমরা অনুরোধ করছি তাদের কাছে যখনই পিয়াজ আসবে তখনই যেন বিক্রি করে দেন। ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে তারা যেন ভারত নির্ভর না হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেন। ইতিমধ্যে মিয়ানমার থেকে আমদানি বেড়েছে। তুরস্ক থেকে মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা ৭৮০ টন পিয়াজ আজ (গতকাল) রাতেই আসবে। ৪২ টাকা ধরে তারা এই পিয়াজ টিসিবিকে দিবে। তিনি বলেন, খুব শিগগির পিয়াজের দাম কমবে। বাজার সহনীয় হবে। সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমদানিকারকরাও চান বাজার সহনীয় হোক। তারা আমাদেরকে বলেছেন, তাদেরকে যদি আরও আগে ডাকা হতো তবে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আগেই পিয়াজ আমদানি করতেন।
আমদানিকারকরা যা বললেন: খুলনার হামিদ এন্টাপ্রাইজের এ হামিদ বলেন, ভারত আর পিয়াজ দেবে না এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। আমরা যখন ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় পিয়াজ আমদানি করেছি তখন সেটি খুচরা বাজারে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমরা বিক্রি করার পর কয়েক হাত বদল হয়েই দাম বেড়ে গেছে। ৭৫ টাকার পিয়াজ আমরা কখনওই ৮০ থেকে ৮৫ টাকার ওপরে বিক্রি করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আমার কাছে পিয়াজের কোনো মজুত নেই। আর এসময়ে মজুত থাকার সুযোগ নেই। এখানে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে আমি কত টন আমদানি করেছি। এগুলোর ক্রয় মূল্য ও বিক্রি মূল্য কত। আমি বলেছি, যে দামে ক্রয় করেছি তার থেকে ২ থেকে ৫ টাকা লাভ ধরে বিক্রি করেছি। মুক্তা এন্টাপ্রাইজের মালিক আল ফেরদৌস বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি ভারতের খুচরা বাজারে ৬০ রুপি আর মূল জায়গায় ৩৮ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। এখনও যদি আমরা ভারত থেকে আনার সুযোগ পাই তবে বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে পারবো। তিনি বলেন, শুল্ক গোয়েন্দারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, কত টন পিয়াজ আমদানি করেছি আর কত টন মজুত আছে। আমি বলেছি ১৩২৬ টন আমদানি করেছি আর কোনো মজুত নেই। কারণ আমার মজুত করার জায়গা নেই তাই মাঠ থেকে বিক্রি করে দিয়েছি। তারা আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র চেয়েছেন সেগুলো জমা দিতে বলেছেন। হঠাৎ করে কেন পিয়াজের দাম বেড়ে গেল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যখন ভারত পিয়াজ না দেওয়ার কথা বললো তখন গুজব ছড়ালো আর পিয়াজ পাওয়া যাবে না। গুজবের কারণে এক শ্রেণীর মানুষ ৫ থেকে ১০ কেজি করে কেনা শুরু করে। এতে বাজারে সংকট তৈরি হয়ে গেল। মেঘনা গ্রুপের এজিএম খালিদ হোসেন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আমরা পিয়াজ আমদানি করছি। তুরস্ক থেকে প্রায় ১৪ হাজার টন আমদানির পরিকল্পনা আছে। এরমধ্যে সাড়ে ৯ হাজার টনের জন্য এলসি করা হয়েছে। বিমানে করে ২০ টন আনা হয়েছে। আর মঙ্গলবার রাতেই জাহাজে এসে পৌঁছাবে ৭৮০ টন। এসব পিয়াজ ৪২ টাকা দরে টিসিবিকে দিব। তারা সেটি বাজারে বিক্রি করবে। এখানে কোনো রকম ভর্র্তূকি দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো ভর্তুকি নয় আমদানি ও সব ধরনের খরচ মিলিয়ে ৪২ টাকা পড়েছে। আমরা ডিসেম্বরের ভেতরেই সব চালান নিয়ে আসবো।
দুই দিনে যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো: রাজশাহীর ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, চাঁপাই নবাবগঞ্জের একতা শস্য ভান্ডার, নুর এন্টাপ্রাইজ, এম/এস আরএম এগ্রো, হুদা ইন্টারন্যাশনাল, টিএম এন্টারপ্রাইজ, রিজু রিতু এন্টাপ্রাইজ, গোল্ডেন এন্টাপ্রাইজ, বিএইচ ট্রেডিং এন্ড কোম্পানি, এম/এস টাটা ট্রেডার্স, আলী রাইচ মিল, এম/এস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, নওগাঁর জগদিশ চন্দ্র রায়, বগুড়ার এম/এস সুমাইয়া এন্টাপ্রাইজ, বিকে ট্রেডার্স, এম/এস রায়হান ট্রেডার্স-১, রায়হান ট্রেডার্স-২, এম/এস সালেহা ট্রেডার্স, সাতক্ষীরার এম/এস দীপা এন্টারপ্রাইজ, এম/এস সাইফুল এন্টারপ্রাইজ, নুর এন্টারপ্রাইজ, ডিএ এন্টারপ্রাইজ, এম/এস মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, শামীম এন্টারপ্রাইজ, সুপ্তি এন্টারপ্রাইজ, এম/এস মারিয়াম এন্টারপ্রাইজ, আরডি এন্টারপ্রাইজ, এম/এস সোহা এন্টারপ্রাইজ, ফারহা ইন্টারন্যাশনাল, বসুন্ধরার এম/এস রচনা ট্রেডিং, ঢাকার ফরাশগঞ্জের এম/এস বাদ্রার্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, জেনি এন্টারপ্রাইজ, বিজনগরের এসএম করপোরেশন, যশোরের এম/এস রহমান ইমপ্রেক্স, দিনাজপুরের খান ট্রেডার্স-১, খান ট্রেডার্স-২, ধ্রুব ফারিয়া ট্রেডার্স, খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজ, সাহা ভান্ডার, জয়পুরহাটের এম/এস এম আর ট্রেডার্স, কক্সবাজারের মাহী এন্ড বাদ্রার্স, এম/এস আলম এন্ড সন্স, এস এস ট্রেডিং, আল মদিনা স্টোর, নিউ বারা বাজার, এম/এস মা এন্টারপ্রাইজ, এম/এস জাবেদ এন্ড ব্রাদার্স।
সাড়ে তিন মাসের আমদানি তথ্য: শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে সারা দেশের ৪৭ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৪ হাজার ৫৫৮ টন পিয়াজ আমদানি করেছেন। কেজি হিসাবে ধরলে যার পরিমাণ দাড়ায় ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার কেজি। এসব পিয়াজের আমদানি খরচ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম পড়েছে ৩৮ টাকা। একই সময়ে দেশের ৩৪১ জন আমদানিকারক মোট আমদানি করেছেন ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ টন পিয়াজ। আমদানি করা এসব পিয়াজ দেশের ৮টি স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আনা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছে ৬ হাজার ৬৯৩ টন, টেকনাফ দিয়ে ৩৪ হাজার ৮৬১ টন, সোনা মসজিদ দিয়ে ৫১ হাজার ৬৪৯ টন, ভোমরা দিয়ে ৪৬ হাজার ৩৭০ টন, হিলি দিয়ে ২৪ হাজার ৩০৮ টন, ঢাকা কাস্টমস দিয়ে ২৭ টন, বাংলাবান্ধা দিয়ে ১৭১ টন।
শীর্ষ ১০ আমদানি কারক: শুল্ক গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যমতে সাড়ে তিন মাসের শীর্ষ ১০ আমদানিকারকের তথ্য মিলেছে। তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাই নবাবগঞ্জের টি এম এন্টারপ্রাইজ। এই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার ২০ টন পিয়াজ আমদানি করেছে। এছাড়া সাতক্ষীরার দীপা এন্টারপ্রাইজ ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ৫ হাজার ৬৯৩ টন। চাঁপাই নবাবগঞ্জের নুর এন্টারপ্রাইজ ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে ৪ হাজার ৪ হাজার ৪৩৮ টন, বিএইচ ট্রেডিং ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৭৪৬ টন, রাজশাহীর ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৮৫ টন, নওগাঁর জগদিশ চন্দ্র রায় ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৫৭৪ টন, খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজ ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়ে ২ হাজার ৮৬৯ দশমিক ৪২ টন, চাঁপাই নবাবগঞ্জের এম/এস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ১৩ কোটি ৬ লাখ দিয়ে ৩ হাজার ৪৪৮ টন, সাতক্ষীরার এম/এস ফারহা ইন্টারন্যাশনাল ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দিয়ে ২ হাজার ৯৪৫ টন ও চাঁপাই নবাবগঞ্জের একতা শস্য ভান্ডার ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৩৯৪ টন পিয়াজ আমদানি করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com