অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ক্রেইগ আরভিন। তবে স্পিনার নাঈম হাসানের কল্যাণে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২২৮/৬ তোলে দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন অফস্পিনার নাঈম। বাকি ২ উইকেট ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ রাহীর। ডনাল্ড তিরিপানো (০*) ও রেগিস চাকাভ (৯*) আগামীকাল পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামবেন।

মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। শুরুর চার ওভার টানা মেডেন বোলিংয়ে সফরকারী জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন। দলকে বল হাতে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন আবু জায়েদ রাহী। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় মাত্র ৭ রানে কেভিন কাসুজাকে সাজঘরে ফেরান এ টাইগার পেসার।

কিন্তু বল হাতে শুরুর দৃঢ়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। পরের ২২ ওভার নির্বিঘ্নেই ক্রিজে কাটিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের অপর ওপেনার প্রিন্স মাসভরে ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। এতে ৮০/১ সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনের লাঞ্চে যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় সেশনে ১৫ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান স্পিনার নাঈম হাসান। ৪৮.১ ওভারে হাফসেঞ্চুরিয়ান প্রিন্স মাসভরেকে আউট করে ১১১ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন-মাসভেরের জুটিতে ১০০ পার করে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১১৮ রানে নিজের বলে মাসভেরের রিটার্ন ক্যাচ নেন অফস্পিনার নাঈম। ১৫২ বলে ৯ চারে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।এরপর ৫১তম ওভারের চতুর্থ বলে নাঈম সরাসরি বোল্ড করেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলরকে। ১১ বলে ১০ রান করেন টেইলর।

অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সঙ্গে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন সিকান্দার রাজা। জিম্বাবুয়ের দলীয় ১৭৪ রানে রাজাকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় সাফল্য দেখেন নাঈম হাসান। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন রাজা। ৬২ বলে করেন ১৮ রান। দলীয় ১৯৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। টিমিসেন মারুমাকে (৭) এলবির ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ রাহী।

তবে এক প্রান্ত আগলে রাখা আরভিনের ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি থামাতে পারেননি রাহীরা। ইনিংসের ৮৬তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক। তবে ৮৯তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে আরভিনকে ক্লিন বোল্ড করেন নাঈম। ২২৭ বলে ১৩ চারে ১০৭ রান করেন তিনি।