পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে ফাটলের জেরেই কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাতার সফর করেছেন? সংবাদ মাধ্যমের কিছু রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। ইমরান খানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন কাতারের প্রতিরক্ষা ও জ্বালানিমন্ত্রী। যদিও কাতারের সরকারি সংবাদ সংস্থায় বলা হয়েছিল, আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিই তাকে স্বাগত জানাবেন। তবে অবশ্য পরে দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইসলামি দেশগুলোর সংগঠন ওআইসিতে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। কিন্তু সৌদি আরব সেখানে আপত্তি জানিয়েছিল। পাকিস্তানের ডন পত্রিকা এ খবর জানায়।
পাকিস্তান ও সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই মিত্র। সৌদি আরবের আপত্তিতেই সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ আয়োজিত মুসলিম সম্মেলনে যোগ দিতে যাননি ইমরান।
বলা হচ্ছিল, সৌদি আরবের আশঙ্কা ছিল, ওআইসি’র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে মালয়েশিয়া ও তুরস্কের ওই উদ্যোগ। এমন উদ্বেগের কারণও ছিল। ওই উদ্যোগের অন্যতম সারথি তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক সাপে নেউলে।
বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সম্পর্কে নেতিবাচকতার মধ্যেই কাতারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ভিন্ন চোখে দেখা হচ্ছে। কাতারের সঙ্গে দুই বছর ধরে রিয়াদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন। কিন্তু এ বছরের শুরুতে একবার কাতার সফর করে ফের কেন কাতারে যেতে হচ্ছে ইমরান খানকে? সৌদিকে বার্তা দেওয়াই কি এই সফরের উদ্দেশ্যে?
এছাড়া মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান পাকিস্তানে দুই দিনের সরকারি সফরে গিয়েছিলেন। এরদোগানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান সরাসরি বলেছিলেন, সিরিয়ায় তুরস্কের অবস্থানকে সমর্থন করে পাকিস্তান। এছাড়া কাশ্মীরিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।