জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার রোনালদিনহোকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিওনের আদালতে শুনানি শেষে বিচারক ক্লারা রুইজ ডিয়াজ বলেন, ‘ছাড়া পেলে রোনালদিনহো পালিয়ে যেতে পারে এমন শঙ্কায় তাকে জামিন দেয়া হয়নি। এছাড়া তাদের এই অপরাধ প্যারাগুয়ের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারেই থাকতে হবে।’
প্যারাগুয়ের আইন অনুযায়ী, এই তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় পাবেন দেশটির কর্মকর্তারা। এই সময়সীমাকে ‘আজগুবি’ বলে উল্লেখ করে শিগগিরই আপিল করবেন বলে জানান রোনালদিনহোর আইনজীবী টারেক টুমা। তিনি বলেন, ‘কী ঘটছে তা তিনি (রোনালদিনহো) বুঝতে পারছেন না।’
ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশের অপরাধে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার হন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। একই অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার ভাই ও ব্যবসায়িক ম্যানেজার রবের্তো অ্যাসিসকে। ৩৯ বছর বয়সী রোনালদিনহো আর তার ভাইকে প্যারাগুয়েতে নিয়েছেন সেখানকার এক ক্যাসিনোর মালিক।
প্যারাগুয়েতে একটি ফুটবল ক্লিনিকেও যাওয়ার কথা ছিল ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোনালদিনহোর। প্যারাগুয়ের গণমাধ্যম জানায়, আসুনসিওনের বিমানবন্দরেই রোনালদিনহোর জাল পাসপোর্টের ব্যাপারটি ধরা পড়ে। কিন্তু তাকে বরণ করতে বাইরে অপেক্ষমাণ জনতার ঢল আর তার প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানগুলোর কথা ভেবে তখন তাকে আটকায়নি পুলিশ। অনুষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার তার হোটেলে অভিযান চালানো হয়। ২০০৪ ও ২০০৫’র ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার রোনালদিনহো আর তার ভাইকে ‘ভুল শোধরানোর’ সুযোগ দেয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিলেন প্যারাগুয়ের সরকারি কৌঁসুলি দেলফিনো। কিন্তু আরেক সরকারি কৌঁসুলি সেটিতে আপত্তি জানানোর পর অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এমনিতে ব্রাজিলিয়ানদের প্যারাগুয়ে ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়ে না। এরপরও কেন প্যারাগুয়ের জাল পাসপোর্ট নিয়েছেন, সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি এসি মিলান ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা রোনালদিনহো।