সৌদি আরবের মক্কা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আল লিত এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চার বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনের লাশ দেশে ফিরছে না।
তারা হলেন- কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বানিয়ার চরের হাবিব উল্লাহর ছেলে আমানুল্লাহ, টাঙ্গাইলের আব্দুল মাজেদের ছেলে আব্দুল হালিম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নূর হোসেনের ছেলে ইয়াসিন।
জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) মোকাম্মেল হোসাইন জানিয়েছেন, ওই তিনজনের পরিবারের পক্ষ থেকে অনাপত্তি থাকায় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট পবিত্র মক্কায় তাদের দাফন সম্পন্ন করেছে।
অপর বাংলাদেশি চাঁদপুর জেলার আব্দুল খালেকের ছেলে শেখ হারুনের পরিবারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় তার লাশ দাফনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
মোকাম্মেল হোসাইন বলেন, “যেহেতু গাড়ির চালকও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, সেহেতু ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব হবে না। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে নিহতদের কর্মস্থল থেকে পরিবারকে সহযোগিতা পাইয়ে দিতে কাজ করছে জেদ্দা কনস্যুলেট।”
শ্রম কাউন্সিলর বলেন, “নিহতদের পরিবার থেকে আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক পরিবারকে তিনলাখ টাকা করে সহায়তা দেবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বন্ড।”
গত ২৫ মে রাতে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ শেষে কর্মস্থল কুংফুদা যাওয়ার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় চার বাংলাদেশিসহ ছয়জন নিহত হয়। নিহত বাকি দুজনের একজন সৌদি এবং অপর জন্য পাকিস্তানের নাগরিক। গাড়িতে থাকা আট যাত্রীর মধ্যে ছয়জনই মারা যান।