২০০২ বিশ্বকাপে আট গোল করেছিলেন। এর মধ্যে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে করেছিলেন দুটি। জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের শিরোপা জেতার মূল কারিগর ছিলেন রোনালদো। জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্স তো বটেই, ‘দ্য ফেনোমেনোন’ স্মরণীয় হয়ে আছেন ওই আসরে তাঁর ‘হেয়ারকাটের’ জন্যও!
মাথার বেশির ভাগ জায়গা কামানো, কেবল সামনের দিকে সামান্য একটা অংশে চুল—২০০২ রোনালদোর এই চুলে নকশা সবার দৃষ্টি কাড়ে। নিন্দুকেরা অবশ্য রোনালদোর সেই হেয়ারস্টাইলকে বিশ্বকাপের ইতিহাসের ‘জঘন্যতম’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোনালদোর অগণিত ভক্ত ওই হেয়ারকাট নিয়েছিলেন। নিজেকে সাজিয়েছিলেন রোনালদোর মতো করে। সেই ভক্তদের মধ্যে যেমন ছিলেন বাংলাদেশের অনেকেই, ছিলেন ব্রাজিলের নতুন দিনের স্বপ্নসারথি নেইমারও! ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার আজকের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে কথাটা জানালেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নিজেই।
২০০২ বিশ্বকাপে নেইমারের বয়স ছিল ১০। স্বাভাবিকভাবেই ওই বিশ্বকাপের অনেক স্মৃতিই তাঁর মনে থাকার কথা নয়। হ্যাঁ, বেশির ভাগ মুহূর্তই তিনি ভুলেছেন। তবে যে গুটিকয়েক মুহূর্ত এখনো স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছে, এর একটি হলো তাঁর রোনালদো-সাজ নেওয়া। এক যুগ পর সেটা অকপটে স্বীকার করলেন নেইমার, ‘২০০২ সালে রোনালদোর মতো হেয়ারকাট ছিল আমার। কিন্তু ওই বিশ্বকাপের বেশি কিছু মনে নেই। বিশ্বকাপ, বিশেষ করে ২০০২ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলার সময় রোনালদো ও রোমারিওর কথা মনে হয় আমার।’ কোন তারকার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পান—এমন প্রশ্নে বার্সার ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের জবাব, ‘মেসি ও রোনালদোর মতো বিশ্বের সব খেলোয়াড়ের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাই আমি। দলকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমার চাওয়া।’