কনফেডারেশনস কাপের ফাইনালে ব্রাজিল যে জিততে যাচ্ছে, সেটা নাকি ম্যাচ শুরুর আগেই টের পেতে শুরু করেছিলেন স্পেনের খেলোয়াড়েরা। জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় মারাকানার স্টেডিয়ামভর্তি দর্শক যেভাবে নেইমারদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন, তাতেই জাভি-ইনিয়েস্তারা বুঝে গিয়েছিলেন যে দিনটা তাঁদের নয়। শেষ পর্যন্ত সত্যিই ৩-০ গোলে হারতে হয়েছিল বিশ্বকাপজয়ীদের। চতুর্থবারের মতো কনফেডারেশনস কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ব্রাজিল।
মহড়ার মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বেও সমর্থকদের ঠিক ওই ভূমিকাতেই দেখতে চান নেইমার। সমর্থকদের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশনের সক্রিয় অংশও বানিয়ে ফেলেছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সমর্থকেরাই নাকি সেলেসাওদের দ্বাদশ খেলোয়াড়। নেইমার বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দ্বাদশ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করছি। তারাই আমাদের প্রধান খেলোয়াড়।’
কোচ ফেলিপে স্কলারিও গলা মিলিয়েছেন শিষ্যর সঙ্গে। সমর্থকেরা পাশে থাকলে ব্রাজিলকে কেউই হারাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী কোচ, ‘যদি সমর্থকেরা পুরো ম্যাচে আমাদের পাশে থাকে তাহলে ব্রাজিলকে হারানো খুবই কঠিন হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপবিরোধী বিক্ষোভ-আন্দোলনে তোলপাড় হয়েছে ব্রাজিল। প্রথম দিন অনুশীলনে যাওয়ার পথে নেইমারদের পড়তে হয়েছিল বিক্ষোভের মুখে। গত সপ্তাহে সার্বিয়ার বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সমর্থকেরা যেন এমন বৈরী না হয়ে ওঠেন, সে কারণেই হয়তো এমন বার্তা নেইমার-স্কলারিদের