২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বল নিয়ে নাকি খেলোয়াড়দের খুশি হওয়ায় উচিত! নিজস্ব অ্যারডাইনামিকস পরীক্ষা শেষে এমনটাই দাবি করল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা। কারণ এবারের বলটি ২০১০ সালে ব্যবহৃত বলের চেয়ে আলাদা। সে বলটির গতিবিধি নিয়ে নাকি খেলোয়াড়রা কোনো ধারণাই করতে পারত না।
আগের বিশ্বকাপে অফিসিয়াল জাবুলিনি বল নিয়ে খেলোয়াড়দের বেশ অভিযোগ ছিল। এর নকশাগত সমস্যার কারণে বায়ুপ্রবাহে খেলোয়াড়দের শটে হিতে বিপরীত হতো। তবে কিছু কিছু স্ট্রাইকার এর সুযোগ বুঝতে পারলেও গোলকিপাররা অভিযোগ করে বসেন। তাই এবারেরটি নাকি বারবার নিখুঁত বল তৈরির চেষ্টা থেকে উদ্ভূত।
সেবারের শিক্ষা এবার ভালোভাবে গ্রহণ করেছে ফুটবলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এডিডাস। বিশ্ববিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী ব্যান্ডটির নতুন বলটি নাকি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তারা বলের গতি সম্পর্কে অনুমানও করতে পারবেন প্রায় নিখুঁতভাবে। ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়, বলটির উন্নয়নে এডিডাস প্রায় আড়াই বছর সময় নিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এটি সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা বল।
আর বলটির দামও কম নয়। মাত্র ১৬০ ডলার।
এদিকে তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বায়ুপ্রবাহ বলটিকে দ্রুত ও সরাসরি লক্ষ্যের দিকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার এক্সপেরিমেন্টাল অ্যারা-ফিজিক্স শাখার প্রধান রবি মেহতা এ সব তথ্য জানার জন্য ল্যাব পরীক্ষার সাহায্য নিয়েছেন। সূত্র : এনডিটিভি