ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) গাজায় কোনো ধরনের হামলা চালানো হবে না। গাজার অধিবাসীরা এই সময়ের মধ্যে খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুখারিও জানিয়েছেন, ওই সময়ে তার সংগঠন ইসরায়েলের দিকে কোনো রকেট ছুড়বে না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোয়াভ মরদেশাই বিবিসিকে জানান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের অনুরোধেই তারা এই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির নির্ধারিত সময়ে হামাস কোনো ধরনের হামলা চালালে ইসরালের তার কঠিন জবাব দেবে।
ফিলিস্থিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, গত আট দিনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় এ পর্যন্ত একজন ইসরায়েলির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বুধবার গাজায় একই পরিবারের চার শিশু নিহত হওয়ার ঘটনাকে ইসরায়েল দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করেছে। গাজার সৈকতে খেলতে গিয়ে ইসরায়েলি গোলায় নিহত হয় তারা। হামাস এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
মিশরের একটি অস্ত্রবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত মঙ্গলবার সকালে গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করেছিলো ইসরায়েল। কিন্তু হামাস ওই প্রস্তাব না মানায় ছয় ঘণ্টা পর আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।
এর কিছুক্ষণ পরেই হামাসের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে একটি ‘রাজনৈতিক সমাধানে’ আসার পক্ষে কথা বলেন।
তিন ইসরায়েলি কিশোর অপহৃত ও পরে নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাসকে দায়ী করে গত ৮ জুলাই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে পুড়িয়ে মারার পর পরিস্থিতি আরো বিস্ফোরক হয়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে গাজা অঞ্চল থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত এলাকায় ‘অপারেশন প্রটোক্টিভ এজ’ নামে এই সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।