দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই বন্দরে ফিরে গেছে ‘জরিপ-১০’ জাহাজ। মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ শনাক্ত করতে বন্দর থেকে দুপুর ১২টায় রওয়ানা হয়েছিল এটি।
তবে জরিপ জাহাজটির সঙ্গে থাকা ‘কান্ডারি-২’ নামে অপর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ মাওয়ার পথে রয়েছে। ‘জরিপ-১০’ জাহাজটি ফিরে আসার আগেই জাহাজ শনাক্তকরণের সব যন্ত্রপাতি কান্ডারি-২ জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি আগামীকাল বুধবার দুপুরে মাওয়া পৌঁছার কথা রয়েছে।
বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডোর এম শাহজাহান আজ প্রথম আলোকে জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় ‘জরিপ-১০’ জাহাজটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া জাহাজ শনাক্তকরণে ‘সাইড স্ক্যান সোনার’, ‘সাব বটম প্রোপাইলার’ ও ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’—এই তিনটি যন্ত্র ‘কান্ডারি-২’ জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে হাইডোগ্রাফি বিভাগের প্রধান কমান্ডার এম এম করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দক্ষ দল রয়েছে ‘কান্ডারি-২’ জাহাজে। আজ সন্ধ্যার দিকে জাহাজটি হাতিয়ার অদূরে ছিল বলে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে কমান্ডার এম এম করিম চৌধুরী সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল। সতর্কভাবে জাহাজ চালানো হচ্ছে। মাওয়ায় পৌঁছাতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ যন্ত্রের সাহায্যে জাহাজের দুই পাশে ২০০ মিটার দূরত্বে পানির নিচে থাকা বস্তু শনাক্ত করা যায়। ‘সাব বটম প্রোপাইলার’ যন্ত্রের সাহায্যে পানির তলায় বালি ও মাটির নিচের কঠিন বস্ত শনাক্ত করা যায়। পানির নিচে বা বালি-মাটির নিচে জাহাজসহ কোনো বস্ত শনাক্ত হওয়ার পর সেই জায়গার অবস্থান নির্ধারণ করতে ‘জিপিএস’-এর সাহায্য নেওয়া হবে। কান্ডারি-২ জাহাজের পাশাপাশি অন্য বাহিনীর জরিপ জাহাজেরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।