কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) মেডিকেল অফিসার হাসিবুল হক হাসানকে মাদকের টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হত্যা করে অন্য মাদকসেবীরা।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামী আকসাদুল হক রাজু (৩০) বুধবার কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান। জবানবন্দি গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, ৫ এপ্রিল বেলা ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ডরমেটরি থেকে পুলিশ হাসিবুল হক হাসানের (৩৭) গলিত লাশ উদ্ধার করে। নিহত চিকিৎসক হাসিবুল হক হাসান ৫৬ সবুজবাগ, ঢাকার আবদুল হামিদের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবি পুলিশের এসআই ইকবাল বাহার জানান, মঙ্গলবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া রাজু জবানবন্দিতে জানায়, ২ এপ্রিল মধ্য রাতে হাসানের সাথে মাদক সেবন করতে আসে রাজুসহ আরও একজন। এ সময় মাদকের টাকা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাসিবকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় রাজু। রাজু খাটে পড়ে গিয়ে তার মাথার পেছনে আঘাত লাগে। সে অবস্থায় হাসানের মৃত্যু হয়।
হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল ৫ এপ্রিল কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। হাসানের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।