পাঁচ দিনেও সনাক্ত হয়নি ডুবে যাওয়া লঞ্চ-পিনাক-৬ এর অবস্থান। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে কান্ডারি-২, জরিপ-১০ জাহাজ নদীতে অনুসন্ধান চালালেও এ পর্যন্ত কোন তথ্যই প্রকাশ করেননি অনুসন্ধানকারীরা। এদিকে লঞ্চ উদ্ধার ঘিরে তৎপরতা থাকলেও লাশ উদ্ধারে তেমন কোন উদ্যোগই নেই। নদীতে নিজ উদ্যোগে স্বজনের লাশ খোঁজে বেড়াচ্ছে মানুষ। এ পর্যন্ত পাওয়া বেশিরভাগ লাশই স্বজন ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেছেন। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩৭ জনের লাশ। এর মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় জানাগেছে। মাদারিপুরের পাচ্চর স্কুলে থাকা যেসব লাশ সনাক্ত হয়নি তা আজ বাদ জুম্মা দাফন করা হবে। বুধবার রাতে উদ্ধারকাজে যোগ দেয় কান্ডারি-২। প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করলেও লঞ্চের অবস্থানের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি এ জাহাজ। আজ সকাল থেকে জরিপ-১০ নদীতে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে। অনুসন্ধান কাজে আছে আরও আটটি জাহাজ। এদিকে লাশের খোঁজে পদ্মা পাড়ে অপেক্ষমান স্বজনদের চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে ক্রমে। দিন গড়ানোয় এখন স্বজনের অক্ষত লাশটিও পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন তারা। সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় সনাক্ত করা যাচ্ছে না বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে। তারপরও শোকাতুর স্বজনরা স্পিডবোট, নৌকা নিয়ে ঘুরছেন নদীতে। কেউ কেউ ভির করছেন মাওয়া ঘাটে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।