আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ ভিক্ষে করি খাই। মানুষের জায়গায় থাকি। তবু হামাক রিলিফ দেয় নাই। হামার দাদী শওড়ী বুড়ি হইছে। চোখে দেকে না। তাক্ও রিলিফ দেয় নাই। কথাগুলো অন্যের বাড়িতে আশ্রিত বেলকা নবাবগঞ্জের বাক, বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধি মিলন মিয়া বলেছেন। রবিবার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত বেলকা নবাবগঞ্জে নৌকা যোগে বন্যার্তদের মাঝে রিলিফ বিতরণ কালে কিছুদূর পানি সাঁতরিয়ে পার হয়ে খালি হাতে ফিরে এসব কথা বলেছেন মিলন। তার স্ত্রীর স্বপ্না বেগম বললেন- হামাক কিছু দেয় নাই ছ্যার। সগাইকে (সবাই) ছ্যারেরা রিলিফ দিছে। হামরা পানি পার হয়্যা গেছি। হামাক রিলিফ দেয় নাই। হামার স্বামী পাগল। আমিও কিছু করতে পাই না। আমার দাদি সখিনা বুড়ি হইছে। তার দুই চোখ অন্ধ। হামরা মাইনসের বাড়িত থাকি। গেরামের মানুষগুলা হামাক এই চালাঘর তুলি দিছে। হামরা এইটাত থাকি। কয়েক বছর পূর্বে এলাকাবাসী প্রতিবন্ধি মিলন ও স্বপ্নার বিয়ে করিয়ে দিয়ে ঐ চালা ঘরটি উঠিয়ে দেন। তখন থেকে দম্পত্তি এই ঘরে বসবাস করেন। চালাঘরটি সংস্কার অভাবে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সংশি¬ষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সরদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন- তাদের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন সহযোগিতা করা হচ্ছে না। তাদের নামে প্রতিবন্ধিসহ কোন প্রকার সহযোগিতার কার্ড নেই।