আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একলাফে ডিম, কাঁচামরিচ ও আদা’র অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা সদরের কালীবাড়ী বাজারসহ সর্বত্রই একই অবস্থা। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য উর্ধ্বগতিতে ক্রেতা সাধারণ চরম বিপাকে। গত তিনদিনের ব্যবধানে এক লাফে প্রতি হালা ব্রয়লার মুরগীর ডিম ১০ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায় বিক্রয়। প্রতিপিচ ডিমের মূল্য বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি প্রকারভেদে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রয়। গত ২/৩ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মরিচের মূল্য বেড়েছে ৪০/৫০ টাকা। চাহিদার তুলনায় সরবরাবহ কম এবং বৃষ্টিপাতের কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৃষক ও ব্যবসায়ী সূত্র জানায়। মরিচ-ডিমের সাথে বেড়েছে অধিকাংশ সব্জির দাম। সদরের কালীবাড়াী বাজার ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য হাট-বাজার সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, প্রতিকেজি রসুন ৮০ টাকা, আদা ২০০, বরবটি ২৫, ঢেঁড়স ২০, শসা ২৫, করলা ৮০, পেঁপে ১৫, কাকড়োল ১৬, কচু ২৪, বেগুন ১৬, আলু ২৪, পোটল ২০, দেশী পেয়াজ ৪৫, ভারতীয় পেয়াজ ৪০ টাকা। সবধরনের মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগী প্রতিকেজি ১৩৫ টাকা, দেশী মুরগী ২৬০, গরুর মাংস ২৫০, খাসির মাংস ৪৫০ টাকা। প্রকারভেদে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ডিমের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সদরের কালীবাড়ী বাজারের ডিম বিক্রেতা আউয়াল জানান, বর্তমান মৌসুমে ডিমের উৎপাদন কম হয়ে থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ডিমের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজি ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান জানান, ক্ষেত থেকে মরিচ এখন কম উঠছে। বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের মূল্যের এমন তারতম্য ঘটেছে।