বিএনপির আন্দোলন মাঠ থেকে ঘরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক শোকসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ শোকসভার আয়োজন করে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাঠ থেকে আন্দোলন চলে গেছে ঘরে। গণ-আন্দোলনের জন্য গণ-অসন্তোষ দরকার, কিন্তু মানুষের মধ্যে আজ কোনো অসন্তোষ নেই। তাই তাদের গণ-আন্দোলন হচ্ছে না।’
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘এবার রোজার ঈদের পর আন্দোলন হয়নি। মরা গাঙ্গে জোয়ার এল না। কোরবানির ঈদের পরও জোয়ার আসবে না। আন্দোলনও হবে না।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এলাকার বিভিন্ন দাবি দাওয়া করা হলে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কথা বলব কম, কাজ করব বেশি। ভাষণ দেব কম, অ্যাকশন করব বেশি। আমি যে কথা দেব, সেই কথা রাখব। অতীতের অনেক মন্ত্রী কথা দিয়েছেন কিন্তু তাঁরা কথা রাখেননি। আমি তাঁদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে চাই না।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনেক স্নেহ করেন। তিনি হলেন চাঁদ। চাঁদের সামনে মোমের আলো কেউ দেখবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর স্নেহভাজন হয়েও তার সঙ্গে কোনো জনসভায় যাই না। আমার কাজ রাজপথে। আমি রাজপথে থাকতেই পছন্দ করি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, নেতাদের ভালো আচরণ করতে হবে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লাভ নেই। মন্ত্রীর চরিত্র যদি পবিত্র হয়, আশপাশের মানুষের চরিত্রও ভালো হতে হবে। মন্ত্রীর কাছের লোকজন যদি অত্যাচার করে, তার ফল আগামী নির্বাচনে ভালো হবে না। ভোটে এর ফল পাওয়া যাবে।’
সড়কগুলোতে নছিমন-করিমন চলাচল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে কোনো ভটভটি চলবে না। তবে বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কগুলোতে চলবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুুস সালামের সভাপতিত্বে শোকসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পবা-মোহনপুর আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আখতার জাহানসহ সংগঠনের নেতারা।
এর আগে কেশরহাট পৌরসভার তিনজন নারী কাউন্সিলর মন্ত্রীর হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।