ষাটোর্ধ্ব এবং ১৩ বছরের কম বয়সী বাংলাদেশী নাগরিকদের মাল্টিপল ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। শিগগিরই এসব ভিসা দেয়া হবে। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ষাটোর্ধ্ব ও ১৩ বছরের বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য যে ভিসাটি দেয়া হবে সেটি হবে ট্যুরিস্ট ভিসা। এ ছাড়া ভারতে ভিসা দেয়ার জটিলতা দূর করারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার। মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ভিসাপ্রাপ্তির ঝামেলার বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে। এ জন্য ভারত সরকার ও ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে বিষয়টি বারবার উত্থাপন করা হয়েছে। তারা সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং আরও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সমস্যা লাঘবের জন্য ইতিমধ্যে ভারতীয় একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের ৬৮টি দূতাবাস আছে। নতুন করে আরও ৩টি দেশে দূতাবাস চালু করার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। চলতি বছরেই অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে দূতাবাস কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি জানান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের নিজস্ব কোন ভবন বা জমি নেই। বর্তমানে মাত্র ১৪টি দেশে বাংলাদেশের ১৫টি মিশনের নিজস্ব জমি আছে। বাকিগুলো ভাড়া করা বাড়িতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিক। ভারতের নতুন সরকার গঠনের পরও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং চাপ অব্যাহত রয়েছে। ভারতের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্রুত এ চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকেও তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। পরে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে তারা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভাতেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে পুনঃউত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
অকার্যকর সিগন্যাল বাতি
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদে জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগরীতে ৭০টি ইন্টারসেকশন ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটির আওতায় ৪০টি ও বাকি ৩০টি রয়েছে উত্তর সিটির আওতায়। তবে এসব সিগন্যাল বাতি সচল না থাকায় হাতের ইশারায় গাড়ি পারাপার করতে হয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের সাহায্যে এ সিগন্যাল বাতিগুলো স্থাপনের কাজ চলমান আছে। ৭০টির মধ্যে ৪০টি ইন্টারসেকশনে সোলার প্যানেল, কাউন্টডাউনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়ন প্রকল্প এসব নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাকি ৩০টি ইন্টারসেকশনে সোলার নিয়ন্ত্রিত অটো সিগন্যাল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। ৩০শে সেপ্টেম্বর এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হবে এবং ৩০শে অক্টোবরের মধ্যে সব ক’টি ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। পুলিশে আরও ৫০ হাজার জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় পুলিশ বিভাগের সব ইউনিটসহ জেলা পুলিশের আওতাধীন ইউনিটগুলোতেও জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।