সাতক্ষীরা শ্যামনগরের সুন্দরবন ও সীমান্ত ঘেঁষা কৈখালীতে বই কিনে না দেয়ায় ফাতিমা (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বাবা-মার উপর অভিমান করে আজ সকাল ১১টার দিকে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফাতিমার মেঝ বোন নাজমা বলেন, পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক আব্দুল মজিদ। পেশায় তিনি মৎসজীবি। সংসারের চাকা ঘোরে নদীতে জাল টেনে চিংড়ি পোনা আহরণ করে। বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন অনেক কষ্ট করে। চতুর্থ মেয়ে ফাতিমা (১৪) পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। পড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে মেয়ের বই কিনে দিতে পারেনি পিতা আব্দুল মজিদ। বছরের শুরুতে বই না থাকায় কিছু দিন পড়া বন্ধ থাকে ফতিমার। কয়েক মাস পূর্বে আসমা নামের এক বান্ধবীর হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তার বই নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করে ফাতিমা। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ওই বান্ধবী তার বই ফিরিয়ে নিয়ে নেয় ফাতিমার থেকে। এসময় ফাতিমা তার পিতাকে অষ্টম শ্রেণির বই কিনে দিতে বললে, পিতা আ. মজিদ বছরের শেষ পর্যায়ে আসায় বই পাওয়া যাবে বলে জানায়। এতে অভাব-অনাটন উপেক্ষা করে পড়তে থাকা ফয়সালাবাদ মাদ্রাসার ওই ছাত্রী অভিমান করে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এনামুল হোসেন জানান, ফাতেমার শরীরে বিষের পরিমান বেশী ছিলো। ভালভাবে ওয়াস করা হয়েছে। তারপরও একেবারে বিপদ মুক্ত হয়েছে একথা বলা যাচ্ছে না।