গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ এম মুস্তাফা জামান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কয়েকজন শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা সহকারী শিক্ষক আলী আশরাফকে অধ্যক্ষ পদে বসাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিছু অসৎ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে ব্যবহার ও ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। স্বপন কুমার ঘোষ প্রধান শিক্ষক চেয়ার দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও রেজাল্ট কার্ড টেম্পারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষিকা জিন্নাতুন নাহার যিনি মৌখিকভাবে নিয়োগ হয়ে সরকারি শিক্ষকের বেতন নিচ্ছেন। বরখাস্তকৃত শিক্ষক ওবায়েদ উল্লাহর বিরুদ্ধে কোচিংয়ের ১ লাখ ৭৪ হাজারের টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা রয়েছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এ চক্রটি প্রতিষ্ঠান ও আমার বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ চক্রটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, গুটি কয়েকজন শিক্ষকের জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে আজ নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি ও ষড়যন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচানোর জন্য শিক্ষা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যালয়ের জমাকৃত ফান্ড ছিল মাত্র ১৭ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠান ফান্ড রযেছে, যা এ চত্রুটি ভালভাবে দেখছে না।