টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি), পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে কীভাবে টেকসই করা যায়, সে বিষয়ে কারিগরি দক্ষতা বাড়ানো হবে। দক্ষতা বাড়ানোর মূল বিষয় থাকবে দারিদ্র্য নিরসন, মানব উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি।
এ জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা (এসএসআইপি) নামের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মদক্ষতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়কেও শক্তিশালী করা হবে।
পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ৪৭ লাখ ডলার বা প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা প্রয়োজন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) দেবে ২২ লাখ ডলার। বাকি ৫০ হাজার ডলার দেবে ইউএনডিএসইএ ও ইউএনপিইআই। ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থের সংস্থান এখনো হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
গতকাল রোববার এ প্রকল্পটির ওপর দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে জিইডি। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘মানুষের কল্যাণই চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত। এমডিজির আটটি লক্ষ্যের মধ্যে ইতিমধ্যে পাঁচটি লক্ষ্য অর্জন করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরও দুটি লক্ষ্য অর্জিত হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ-সংক্রান্ত লক্ষ্যটি কোনো দেশই অর্জন করতে পারবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জন্মসনদ না নেওয়া এ দেশের একটি সাধারণ সমস্যা। এ জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিন কোনটি তা জানা যাচ্ছে না। আর আমি তাঁকে দোষ দিচ্ছি না। ২০১৩ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়া শিশুদের মাত্র ৩৭ শতাংশ জন্মসনদ নেয়।’ তিনি জানান, শ্রীলঙ্কায় সব শিশু হয় হাসপাতালে নতুবা ধাত্রীর হাতে জন্ম নেয়। বাংলাদেশে মাত্র ৩২ শতাংশ শিশু হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেয়।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য উপকূলীয় অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গে আরও তহবিল দেওয়ার জন্য ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।