চুয়াডাঙ্গা শহর এলাকায় বিকাশ এজেন্টদের কাছে ‘ক্যাশ আউট’-এর ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী বিকাশ এজেন্টের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রুহুল আমিন (২৫), ফারুক হোসেন (২২), সোহেল রানা (২৩), রাজন হোসেন (২১) ও রনি আহমেদ (২০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে এজেন্টের মোবাইলে ‘ক্যাশ আউট’ বার্তার মতো একটি বার্তা পাঠাতেন। পরে ওই এজেন্টের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যেতেন। সাজ্জাদুল আলম নামের এক ভুক্তভোগী বিকাশ এজেন্ট গতকাল রাত ১০টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গত রোববার শহরের রেলবাজার এলাকায় বিকাশ এজেন্ট সাজ্জাদুলের মোবাইলে ক্যাশ আউটের একটি বার্তা পাঠিয়ে সোহেল, রনি ও রাজন পাঁচ হাজার টাকা তুলে নেন। কিন্তু সাজ্জাদুলের কাছে বার্তাটি সন্দেহজনক মনে হলে তিনি কোম্পানির নিরাপত্তা কোডের সঙ্গে সেটি মিলিয়ে দেখেন। তখন তা ভুয়া প্রমাণিত হয়। তিনিসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা এ সময় ওই তিনজনকে ধরে সদর থানার পুলিশে হস্তান্তর করে। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফারুক ও রুহুল নামের দুই ব্যক্তিকে শহরের ফাতেমা প্লাজা থেকে গতকাল রাত নয়টার দিকে আটক করা হয়। পরে সাজ্জাদুলের করা মামলায় এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।