ইরাক ও সিরিয়াতে আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে বৃটেনের যোগদানের বিষয়ে হাউজ অব কমন্সে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি বলেন, আইএস বৃটেনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইএসবিরোধী অভিযানে বৃটেনের যোগদানের বিষয়ে সংসদে বিতর্ক চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, বৃটেন এ অভিযানে যোগ দিলে স্থলসেনা নামানো হবে না। বিমান হামলা ও মানবাধিকার সহায়তা প্রদানের ভূমিকা পালন করবে বৃটিশ বাহিনী। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। সংসদে বিতর্ক শেষে অভিযানে অংশ নেয়ার বিষয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে সরকার এ ভোটে সহজেই জয়ী হবে। ইরাকি সরকার ডেভিড ক্যামেরনের কাছে বৃটিশ অংশগ্রহণের আহ্বান জানানোর পর বৃটেনের কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও লেবার পার্টি প্রত্যেকেই এ পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী সিরিয়া ও ইরাকে আইএস এর ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। এসব হামলায় বিদ্রোহীদের অবস্থান ও সাজোয়া যান সহ বিভিন্ন যান বাহন ধ্বংস করা হয়। আইএস-এর আয়ের তেল স্থাপনাগুলো ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। বলা হয় আইএস তেল বিক্রি করে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ডলার আয় করছে। আর এ আয়ের উৎস ধ্বংস করা ছিল অভিযানে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিমান হামলায়, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪০ জন জঙ্গি ও ১২ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এদিকে, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ আইএস বিরুদ্ধে অভিযানে যোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। ডেনমার্ক ইতিমধ্যে জানিয়েছে তারা ইরাকে অভিযানের জন্য ৬টি জঙ্গি বিমান পাঠাবে। বেলজিয়াম জানিয়েছে তারা ইরাকে অভিযানে অংশ নিলেও সিরিয়াতে কোন অভিযানে যোগ দেবে না।