শাহজালাল হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দু’ছাত্রলীগ কর্মী। আহতদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদের অনুসারীদের সঙ্গে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু, যুগ্ম-সম্পাদক সুমন মামুনের অনুসারীদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাত দেড়টার দিকে শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। অপর গ্রুপ অবস্থান নেয় হলের ভেতর। উভয় পক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী শুভ বড়ুয়া কানে ও রাসেল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই দাবি করেছেন চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি অমিত কুমার বসু ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন মামুন। তারা বলেন, আমরা গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকায় অবস্থান করছি। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সাব্বির আহমদ চৌধুরী, জালাল আহমেদ সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। এ প্রসঙ্গে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন ও নাসির হায়দার বাবুলের অনুসারীরা অমিত কুমার বসু ও সুমন মামুনের নেতৃত্বে শাহজালাল হলে গভীর রাতে হামলা চালায়। এতে আমাদের দুই জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। হাটহাজারী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, রাত দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।