দুই মার্কিন এবং এক রুমানীয়-জার্মান বিজ্ঞানী যৌথভাবে জিতে নিলেন ২০১৪ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কার। লাইট মাইক্রোস্কোপের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য স্টেফান ডব্লিউ হেল, উইলিয়াম ই মোয়েরনার এবং এরিক বেতজিগকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। বিবিসি এবং দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে রসায়নে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা যৌথভাবে আট মিলিয়ন ক্রোনার বা সুইডিশ মুদ্রা ভাগ করে নেবেন। ১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আরও ১০৫ জন বিজ্ঞানী সম্মানজনক এই নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
বিজ্ঞানী এরিক বেতজিগ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশবার্নের হাওয়ার্ড হাজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের জেনেইলা ফার্ম রিসার্চ ক্যাম্পাসে কাজ করছেন। স্টেফান ডব্লিউ হেল জার্মানির গুইটিনগেনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োফিজিকাল কেমিস্ট্রি এবং হাইডেলবার্গের জার্মান ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে গবেষণরত। আর উইলিয়াম ই মোয়েরনার যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
নোবেল কমিটির প্রধান এবং লুন্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক সিফেন লিডিন বলেছেন, ‘নোবেল বিজেতাদের এই কাজের ফলে মলিকিউলার প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে, তা সরাসরি দেখা যাবে।’
লাইট মাইক্রোস্কোপ বা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ নিয়ে বহুদিন ধরেই এমন ধারণা ছিল যে, এতে কখনোই আলোক রশ্মির দৈর্ঘের অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভালো রেজুলিউশন পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা ফ্লোরোসেন্ট মলিকিউল ব্যবহার করে এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন। ফলে বিজ্ঞানীরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে কোষ অভ্যন্তরের ক্রিয়া-বিক্রিয়াগুলো দেখতে পারবেন। গবেষকেরা জীবন্ত কোষের মধ্যে একেকটা অণু কীভাবে ক্রিয়া করে, তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন।