জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং স্থিতিশীলতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ম্যার্কেল ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র জলসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগকে মডেল হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশও তাঁকে অনুসরণ করতে পারে।
ম্যার্কেল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন। ইতালির মিলান নগরে অনুষ্ঠিত দশম আসেম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনার সঙ্গে ম্যার্কেলের এই বৈঠক হয়। খবর বাসসের।
পররাষ্ট্রসচিব এম শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বিজন লাল দেব ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ম্যার্কেল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে পোশাকশ্রমিকদের কল্যাণে এবং তাঁদের ও তাঁদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সম্পর্কে ম্যার্কেলকে অবহিত করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার গত পাঁচ বছরে শ্রমিকদের বেতন ২২৬ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ইতালির মিলান নগরে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং ব্রুনাইর সুলতান হাসানাল বোলকিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মুখ্যসচিব আবদুস সোবহান সিকদার এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদৎ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।