ভৈরবে চাঞ্চল্যকর শিমু হত্যার ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলা থানাকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল কিশোরগঞ্জের ২নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাজিবুল হাসান এ আদেশ প্রদান করেন। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আরিফুল ইসলামের বাসার কাজের মেয়ে শিমু (২৪)-র রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করা হলেও তখন একটি মহল এটিকে বিষপানে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করে। তখন নিহত শিমু’র মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আরিফুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা করে। পরে গত ৩রা অক্টোবর হাজেরা বেগম কিশোরগঞ্জের ২নং আমলি আদালতে কাউন্সিলর আরিফসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ করেন। আদালত বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ভৈরব থানার ওসি’কে নির্দেশ দেন। কিন্তু ধার্য তারিখে আদালতে নথি না পৌঁছানোর কারণে আদালত ২৮শে অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য্য করেন। গতকাল ধার্য তারিখে আদালত হত্যা মামলা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভৈরব থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ভৈরব উপজেলা বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা। তিনি বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের নিকট পরাজিত হন।