রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
ভালো বেতনে শ্রমিকের কাজ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে তিন ল করে ছয় ল টাকা দিয়ে কাতার গিয়েছিলো রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সাহিদুল ইসলাম ও আবদুল খালেকের ছেলে সোহাগ হোসেন। দেশ ছেড়ে কাতার পৌঁছে চারদিন কাটাতে হয় না খেয়ে। পানির অভাব মিটিয়েছে বরফ ভেঙে খেয়ে। ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করতে হয় কয়েকদিন। অবশেষে তাদের অনুরোধে প্রবাসি বাঙ্গালির কাছে থেকে এক মাস দুইদিন পর দেশে ফিরে আসেন। ১৫ সেপ্টেম্বর দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তারা।
জানা যায়, দুই আদম ব্যাপারি নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের ইদ্রিশের ছেলে লিটন আলী ও মজিবর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেনের মাধ্যমে কাতারে শ্রমিকের কাজে যায় সাহিদুল ইসলাম ও সোহাগ হোসেন। তারা চুক্তির ছয় ল টাকা দেয় লিটন ও ফরহাদকে। সে মোতাবেক কাতার পৌঁছার পর কোম্পানির দেয়া তাদের মাথার ক্যাপ দেখে বিমান বন্দর থেকে তাদেরসহ ১০ জনকে একটি মিনি বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় জনবসতি শুন্যে এক মরুভূমি এলাকায়। সেখানে নামিয়ে স্বার নিয়ে পৃথক দু’টি রুমে রাখা হয়। যার একটি রুমে ছিল তারাসহ ছয় জন। সেখানে তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সাও কেড়ে নেয়া হয়। চারদিন কোন খাবার দেয়া হয়নি। রুমের মধ্যে বরফের ডালা ভেঙে পানির পিপাসা নিবারন করে। রুমের কেয়ার টেকারের হাতে-পায়ে ধরে বাড়িতে ফোনে এ খবর জানায় তারা। তাদের অভিভাবকরা বিষয়টি লিটনকে জানানোর পর সেখানকার একজন লোক ওই স্থান থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাতারের ৮০ টাকা মজুরিতে দুইদিন কাজ করার পর ওই লোকের আর দেখাও মেলেনি। তাদের কাজও আর হয়নি। দু’দিন থাকে ব্রাম্মনবাড়িয়া প্রবাসি এক বাঙ্গালির কাছে। বাড়ি ফেরার আগে বাঁকি দিনগুলো কাটিয়েছে জয়দেবপুরের অপর প্রবাসি বাঙ্গালির কাছে। এভাবেই কাতার খেকে দেশে ফেরার কথা জানান, প্রতারিত দুই যুবক সাহিদুল ও সোহাগ। তাদের অভিভাবকরা জানান, সন্তানের সুখের আশায় অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
এ ব্যাপারে আদম ব্যাপারি লিটন ও ফরহাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যাযনি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, উক্ত ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিধায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।