কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস।
বাঁশি বাজাইওনা পাগল পাগল সুরে বাঁশি বাজাইওনা। ওই শোন কদম্ব তলায় বংশী বাজায় কে? বাঁশির সুর শুনতে কে না ভালোবাসে। আর তা যদি হয় কোনো এক তরুণীর সুর তোলা বাঁশিতে? বাঁশিতে জাদুকরী সুর তোলা তরুণী কিশোরগঞ্জ হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের রায়েরহাটি গ্রামের সরস্বতী দাস। বাবা মৃত ফালান দাস। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সরস্বতী সবার ছোট। সরস্বতীর বাঁশির ছন্দ আর সুরের লহরি সবার মন কাড়ে। তার বাঁশির সুরে জাদু আছে, আছে ছন্দ। এ বিষয়ে সরস্বতীর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিা নেই। কোনো ওস্তাদের কাছেও শিা গ্রহণ করেনি। ছোটবেলা থেকেই বাঁশি দেখেশুনেই তার হাতেখড়ি। বড় ভাই শ্যামলাল দাস প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র। বড় ভাইয়ের বাঁশি বাজানো দেখে ছোটবেলা থেকেই বাঁশির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় তার। তখন থেকে সে নিজেই বাঁশি বাজানোর চেষ্টা করে। শুধু কী বাঁশি! গানের গলাও ভালো তার। সব ধরনের গান গাইতে পারে সরস্বতী। রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক ও পল্লীগীতি সবই তার নখদর্পণে। সরস্বতী তবলা সঙ্গত করতেও পারদর্শী। পাশাপাশি শিল্পী অজিত দত্ত পরিচালিত অষ্টগ্রামে হিন্দোল শিল্পকলা একাডেমিতে সরস্বতী দাস শিকিা হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিণ দেন। অষ্টগ্রামের যে কোনো অনুষ্ঠানে তার গান, তবলার তাল আর বাঁশির সুর অপরিহার্য। এলাকার কোনো অনুষ্ঠানে হলেই তার ডাক পড়ে। সরকারি কোনো অনুষ্ঠান অথবা জাতীয় দিবসে তার উপস্থিতি একান্তভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এসব অনুষ্ঠানে গান করে ও বাঁশি বাজিয়ে সে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। বেশ কিছু স্বীকৃতি এবং পুরস্কার তার ভাণ্ডারে জমা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সে স্বীকৃতি পেলেও তার আকাঙ্া বড় শিল্পী হওয়ার। উপযুক্ত পরিচর্যা ও সহযোগিতায় কেবল তাকে আরও বহুদূর নিয়ে যেতে পারে।