গতকাল ঢাকা কলেজের পুনর্মিলনীতে যোগদিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ বলছিলেন- ‘অনেক চিন্তা করলাম, কেন আমাকে প্রধান অথিতি করা হলো, কেন এ পদে আমাকে দেয়া হলো। আসলে সব কিছুর পেছনে ঢাকা কলেজের অবদান। এ কলেজের একজন ছাত্র হওয়ায় এত দূর আসতে পেরেছি।’
১৮৪১ সালের ১৮ জুলাই উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কলেজ যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্টার পর থেকে বহু মনীষীর কলেজ জীবন কেটেছে এই বিদ্যাপিঠে। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজনের করা হয় পুনর্মিলনীতে।
ঢাকা কলেজের প্রাত্তন ছাত্র মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঞা স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, জীবনে যা পেয়েছি, সব ঢাকা কলেজের কারণে। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজে ভর্তির সময়ে মুরব্বিরা বলেছেন, ঢাকা কলেজ কেন বিখ্যাত জানো? এখানে বাঘের সাথে বাঘের লড়াই হয়। ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়ে এ কথা বুজেছি। ঢাকা কলেজের পড়ার কারণে অনেক কিছু শিখেছি। জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছি, এগোতে পেরেছি সামনের দিকে।
অন্য দিকে কলেজের সাবেক ছাত্র শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বক্তব্য শুনছিলেন গভীর আগ্রহভরে নতুন-পুরনো সবাই। তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে তুলে ধরেন ঢাকা কলেজ ঘিরে তার মধুর সব স্মৃতি।
আর ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এ এস এম রফিকুল হাসান কিছুটা কৌতুক করে যখন বলছিলেন তার প্রতি গতকাল বিরাট একটি অবিচার করা হয়েছে, তখন মঞ্চে চোখ পড়ে সবার। আলোচনা শুরু হয় রফিকুল হাসানকে দিয়ে। তিনি জানান, সারা জীবনে ছিলেন উদ্বোধন ব্যাটসম্যান। গতকালও ছিলেন তিনি উদ্বোধক আলোচক। এ জন্য একটু মজা করেই তিনি জানান, ঢাকা কলেজের কারণে এখানে আলোচনা উদ্বোধন করতে হলো। ১৯৬৭ সালে এ কলেজে ভর্তি হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপও বললেন, যা পেলাম এ কলেজের কারণেই। দেশকে কিছু দেয়ার প্রত্যাশায় পড়াশোনা করতে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা পর্বে কলেজের সাবেক অধ্যাপক রওশন আরা রহমানও বক্তব্য দেন।
সাবেক ছাত্র পুনর্মিলনীতে আলেচনা পর্ব ছাড়াও ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিকেলে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ ও কৌতুক পরিবেশন। এ ছাড়া দিনব্যাপী চলে চায়ের আসর।