রানা আহমেদ,নলডাঙ্গা(নাটোর) প্রতিনিধি
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদুরে বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার নিখোঁজ এক প্রকৌশলীসহ দু’জনের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। ঘটনার ৩ দিন পর ও তাদের কোন খোজ খবর না পেয়ে অজানা আশংকায় সময় পার করছে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। গত শুক্রবার ভোরে বঙ্গোপসারে এফ ভি বন্ধন ফিসিং বোট ডুবির ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ধামনপাড়া গ্রামের শুকুর ফকিরের ছেলে প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী খন্দকার ও একই উপজেলার বাঙ্গালখলসী গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে হাসিনুর রহমান(২৭)। এদের মধ্যে ইয়াকুব আলী শিপ ইঞ্জিনিয়ার ও হাসিনুর রহমন শ্রমিক বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গালখলসী গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শিপিং শ্রমিক হাসিনুরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবার আর স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির নিখোঁজে শোকে বিহ্বল তারা। স্ত্রী সন্তানসহ ৮ সদস্যের পরিবারের ব্যয় নির্বাহ হতো হাসিনুরের পাঠানো পারিশ্রমিকের টাকায়। অথচ সেই হাসিনুর এখন জীবিত না মৃত সে ব্যাপারে কিছুই জানেনা তার পরিবার। হাসিনুরের শোকার্ত স্ত্রী সীমা খাতুন তাকে উদ্ধারে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
একই ঘটনার শিকার প্রকৌশলী ইয়াকুবের বাড়িতেও চলছে কান্নার রোল। পরিবারের সদস্য, স্বজন এমনকি গ্রামবাসীও শোকে মূহ্যমান। এলাকার পরিবেশ যেন তাদের অনুপস্থিতিতে শোকাভিভুত। সবাই চান নিখোজ ইয়াকুবের জীবিত বা লাশের সন্ধ্যান। উভয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দূর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই তারা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের খোঁজ পায়নি। ফিশিং বোট মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও নিখোঁজের ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। উভয়ের পরিবারের দাবী, জীবিত হোক বা মৃত হোক তাদের সুনির্দিষ্ট সন্ধ্যান চান তারা।
এ ব্যাপারে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জাহান জানান, ফিসিং বোট ডুবির ঘটনায় এ উপজেলার দুজন নিখোঁজের বিষয়টি জানার পর তাদের উদ্ধার বা সন্ধানের জন্য আমি ওখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। এখনো যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।