রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজের চারু ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনায় ঘটে। এতে শোভন নামে এক ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছেন। তার নাক ফেটে গেছে। শোভন ৫৪তম এমবিবিএস ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর একটার দিকে কলেজের ৫৩তম এমবিবিএস ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক সালমান আলী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের আমন্ত্রণপত্র হাতে নিয়ে চারু ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মী শোভন আহম্মেদ তাকে উদ্দেশ্য করে আস্তে আস্তে কি যেন বলতে থাকেন। এ নিয়ে সালমান আলী শোভনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সালমানের সঙ্গে তার গ্রুপের আরমান আলী ও এমরান আলীসহ আরো কয়েকজন মিলে শোভনকে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত শোভনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে উভয় গ্রুপকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকেই নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নগর সভাপতি রকি কুমার ঘোষ।
রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে মীমাংসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সংগঠনের কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের ভেতরের কোনো বিষয় নিয়ে এটি হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, কলেজের দুই গ্রুপের মধ্যে মারপিটের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ নিয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
By- MD. SUHEL KHAN