প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না। জিয়াউর রহমান যা করেছেন, তার ফল তিনি পেয়েছেন। তিনি যে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন তা আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে।’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী তো কিছুই মানেন না। না হাইকোর্ট, না সুপ্রিম কোর্ট। তিনি তো স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের হত্যা, লুট, ধর্ষণ করেছে। ঠিক একইভাবে ২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, ধর্ষণ করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই জামায়াতকে কে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে? জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাওয়া ভবনই ছিল দুর্নীতির প্রধান কার্যালয়। সে ভবনের অনুমোদন ছাড়া কোনো কাজ হতো না। এর সঙ্গে তো আরো ভাগ-বাটোয়ারার জাড়িত ছিল।’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লন্ডনে বসে তিনি যে কথা বলছেন তার জবাব দিতেও আমার ইচ্ছে করে না। আজ ইচ্ছাকৃতভাবেই ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। সে তো বলবেই। কারণ, এই ইতিহাস বিকৃতির শুরু করে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। এরপর জেনারেল এরশাদ ও খালেদা। এখন তার ছেলে। সে যদি লেখা পড়া শিখতো, ইতিহাস পড়তো তাহলে এমন বলতো না। সে জানোয়ারের মতো কথা বলে। এই জানোয়ারের শিক্ষা কীভাবে দিতে হয় বাঙালি তা জানে। জানোয়ারকে যেভাবে শিক্ষা দিতে হয় সেভাবেই দেয়া উচিৎ।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাড়ির জন্য খালেদা জিয়া যেভাবে কেঁদেছেন স্বামীর জন্যও তিনি সেভাবে কাঁদেননি। জেনারেল এরশাদ তাকে এই বাড়ি দিয়েছেন। তিনি কতো বছর ধরে সেনাবাহিনীর জমি দখল করে ছিলেন। আদালতের আদেশেই তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তিনি যেই বাড়ি দখলে একাই বাসবাস করতেন সেখানে আজ শতশত আর্মি অফিসার থাকতে পারেন।’
‘খালেদা জিয়া আইন-আদালত মানেন না। তাই তিনি পালিয়ে থাকেন। তিনি এতিমদের টাকা মেরে দিয়েছেন। তিনি অপরাধ করেছেন বলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি আদালতে হাজিরা দেন না। তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়ান। তার আইনজীবীরা আদালতকে অসম্মান করে। গালাগালি করেন। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশেই এ ধরনের অসভ্য কাজ কেউ করেন না।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংসদ উপনেতা সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী।
By: MD. SUHEL KHAN