দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লিকে বরণ করতে অনেকটাই প্রস্তুত এখন তুরাগপাড়ের ইজতেমা ময়দান। চলছে শেষ মুহূর্তের সাজানো-গোছানোর কাজ। গত এক মাস ধরে প্রস্তুতি কার্যক্রমের পুরোটাই চলছে মুসল্লিদের স্বেচ্ছাশ্রমে। এদিকে, মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েতের এবারের আসরকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী ৯ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫০তম আসরের প্রথম পর্ব।
বাঁশ-কাঠের এই ঠুক-ঠাক শুরু হয়েছে মাস খানেক আগেই। গত কয়েক সপ্তাহের চেষ্টায় ১৬১ একরের বিশাল মাঠে শামিয়ানা টানানোসহ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বেশিরভাগ কাজ। শেষ মুহূর্তে এখন টুকিটাকি কাজের ব্যস্ততা ইজতেমা ময়দানে।
দিনের পর দিন সুশৃঙ্খলভাবে চলা এসব কাজের পুরোটাই হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। গাজীপুর ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দলে দলে এসে এতে অংশ নিচ্ছেন নানা বয়সী ধর্মপ্রাণ শত শত মানুষ।
ইজতেমায় যোগ দেয়া মুসল্লিদের জন্য পুরনোগুলো সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে অজুর পানির চৌবাচ্চা ও শৌচাগারের সংখ্যা। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধার পাশাপাশি আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থাও।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পাকা স্থাপনা আমাদের এখানে রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছি। নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ ফোর্স সেখানে থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব থাকবে এবং চারটি মোবাইল টিম সেখানে রাত-দিন কাজ করবে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর মানুষ অনেক সাচ্ছন্দে এখানে অবস্থান করতে পারবে।’
এদিকে, মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ করতে তুরাগের ওপর বসানো হচ্ছে ১১টি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ।
আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপরই ধর্মপ্রাণ লাখ লাখ মুসল্লির পাদচারণায় মুখরিত হবে তুরাগপাড়ের এই প্রান্তর। শুধু দেশ থেকে নয় এতে অংশ নিবেন দেশের বাইরের অসংখ্য মুসল্লি। আয়োজকদের আশাবাদ বরাবরের মতো এবারও সুষ্ঠুভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন হবে।