শার্শার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ সাড়াতলা দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবনের উদ্বোধন শেষে- সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন
শিক্ষকরাই জাতী গঠনের মূল কারিগর-
মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, বেনাপোল প্রতিনিধি : সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, শিক্ষকরাই হলো জাতী গঠনের মূল কারিগর। তাই দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ তাদেরকে স্যার বলে সম্মান করে ডাকেন। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্যার আবার শিক্ষার্থীর বাবা মায়ের স্যার। সেসাথে শীর্ষ রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এমপি মন্ত্রীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও তাদেরকে স্যার বলে ডাকেন। এটি একজন মানুষের জন্য পরম পাওয়া। মঙ্গলবার দুপুরে শার্শার ডিহি ইউনিয়নের গোকর্ণ সাড়াতলা দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবনের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন।
এ সময় শেখ আফিল উদ্দিন এমপি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে বলেন, মহান আল্লাহ আপনাদেরকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। যেহেতু আপনারা সকলের স্যার। এজন্য দয়া করে প্রত্যেক শ্রেণীর সকল ছাত্রছাত্রীদের সমান নজরে দেখবেন। তাহলে শ্রেণীর প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, অধিকাংশ শিক্ষকই কেবল শ্রেণীর ভালো ছাত্রদের প্রতি নজর রাখেন এবং শেষ বেঞ্চিতে বসা ছাত্রছাত্রীদের গাঁধা, গরু ছাগল, পাগল বলে ভৎস্যনা করেন। দয়া করো এগুলো করবেন না। কারণ মেধা ছাড়া কেউ সচরাচর চলাফেরা করতে পারেনা। যাদের পাগল ছাগল বলে ভৎস্যনা করা হয় তাদের প্রতি একটু যতœ সহকারে খোজ খবর রাখলে বুঝতে পারবেন। এটা কেবল তাদের অন্যমনস্কতার বহিপ্রকাশ।
এ অনুষ্ঠানে সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা আমার কাছে স্কুল কলেজসহ যতো উন্নয়নের কথা বলেন তা আমার দ্বারা দেওয়া সম্ভব ও দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবো। তবে, দাবি একটাই। আপনারা শ্রেণীতে যতোগুলো ছাত্রছাত্রী পড়াবেন তাদের প্রত্যেককে একেকটি হিরে আর সোনার টুকরা বানিয়ে দিবেন। তাহলেই আমার সকল খরচ ও স্বপ্ন স্বার্থক হবে। এ সময় তিনি সচেতন ও বিবেকবান মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি ছাত্রের প্রাইমারি স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীর উপর সরকারের বার্ষিক খরচ সর্বনি¤œ ৭৮ হাজার টাকা। তাহলে সরকার দেশের সকল ছাত্রছাত্রীদের পিছনে কতো টাকা খরচ করছেন এবং সরকারের লাভ কি। সরকারের চাওয়া প্রত্যেক স্কুল থেকে রতœ বেরিয়ে আসুক। কারণ একেকটি শিক্ষিত সন্তান মানেই একটি স্বর্ণের ক্ষণি, হীরার ক্ষণি। দেশ রক্ষার হাতিয়ার।
প্রধাণ অতিথির বক্তব্যের আগে ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের গূণকির্তণে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, এ যাবত অনেক সংসদ সদস্য শার্শায় এসেছেন কিন্তু শেখ আফিল উদ্দিনের মতো এতো উন্নয়নমুখী এমপি কখনো পাইনি। এক নজরে তিনি এ ইউনিয়নে সকল উন্নয়নের বর্ণনি দিয়ে বলেন, সাড়াতলার বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজেকে সরকারি করণ করেছেন। পাকশিতে আরেকটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, হাইস্কুলের সংস্কারসহ নতুন প্রাচীর ও অথ্যাধুনীক গেট করে দিয়েছেন। বহু টাকা ব্যায়ে বাজারের হাট চাল্লি নির্মাণ করে দিয়েছেন। এছাড়া এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা, অন্যান্য স্কুল কলেজসহ রাস্তা ঘাট পাকা করে সম্স্ত ইউনিয়ন ব্যাপী পাকা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলের মাধ্যম করে দিয়েছেন। যা নজীর বিহীন এবং কল্পনার বাইরে। এ সময় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনকে অনুরোধ করে বলেন, আপনার এ ভালো কাজের ভাবধারা বজায় থাকলে শার্শাবাসী আপনাকে ভুলবে না।
এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলীম রেজা বাপ্পি, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্য শহিদার রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান, উক্ত মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুল হালিম, ছাত্রী আসমা খাতুন প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানের শুরুতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী আসমা খাতুন মানপত্র পাঠ করে শেখ আফিল উদ্দিন এমপিকে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানায়।