পদ্মার পাটুরিয়া-দৗলতদিয়া নৌপথে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে মরদেহ দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। এসময় তিনি বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে আপাতত দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার এবং পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লাখ ৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।
পরিচয় পাওয়া মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার সময়ে দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মৃতদেহ পাটুরিয়া ঘাটের বিআরটিসি যাত্রীছাউনিতে রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
অপরদিকে পদ্মার পাটুরিয়া- দৗলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফার অবস্থান সনাক্ত করেছে ডুবুরিরা। নদীর মাঝখানের এক ‘ডুবোচর’ এর ওপর লঞ্চটি আটকে আছে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, রোববার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা-৩ নামের লঞ্চটি দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ঘাট থেকে মাঝ নদীতে গেলে এমভি নার্গিস নামে একটি কার্গো লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনার পরপরই বিভিন্ন লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। ফলে প্রায় শতাধিক যাত্রী সাঁতরে লঞ্চ ও নৌকায় উঠে প্রাণে বেঁচে গেছে। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় লোকজন।
উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে দমকল বাহিনী ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। ঘাতক কার্গোকে মাস্টারসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।