বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহবান জানিয়ে বলেছেন, “অযৌক্তিক কাজ করে যৌক্তিক দাবি আদায় হয় না। দেশবাসী আশা করেছিল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেত্রী তার বক্তব্যে দেশের জন্য ইতিবাচক কথা বলবেন। কিন্তু তিনি উল্টো আন্দোলনের কথা বলায় গোটা দেশবাসীর সঙ্গে আমরা ব্যবসায়ীরাও আশাহত হয়েছি।”
রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে চলমান অবরোধ হরতাল নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ স্পেশালাইজ টেক্সটাইল মিলস্ অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ) কর্তৃক আয়োজিত খতমে কোরআন, প্রতীকি অনশন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আকরাম উদ্দিন বলেন, “আমরা বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকার পণ্য বিদেশে রফতানি করি। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে পোশাক পরাচ্ছি। কিন্তু নিজেদের কারখানায় থাকার কথা থাকলেও কেন আজ আমাদের সভা সমাবেশ করতে হচ্ছে তার জবাব সরকার ও বিরোধীদলকে দিতে হবে।”
সমাবেশ শেষে সংগঠনের সভাপতি আজিজুল হককে শরবত পান করিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতিকী অনশন ভাঙান।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসটিএমপিআইএ’র সভাপতি আজিজুল হক বলেন, “রাজনীতিবিদরাই দেশের অর্থনীতিকে ফুটো করে দিচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি ও দেশ ধ্বংস হয়ে গেলে কাদের নিয়ে আপনারা রাজনীতি করবেন। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেলে ক্ষমতায়ও থাকতে পারবেন না।”
তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্ব দেশের শিল্প কারখানাগুলোকে সচল রাখা। যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা হোক। যদি তাদের গ্রেফতার করতে না পারে, তাহলে বুঝবো তাদের সঙ্গে সরকারেরও যোগসাজশ রয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শোলাকিয়া ঈদগাহের ঈমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সংগঠনের নেতা আবদুস সাত্তার, লিয়াকত আলী ভুইয়া মিলন, লে. ক. অব. হাজী সেলিম উদ্দিন, ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ লাবলু, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আব্দুস সামাদ, সুলতান মাহমুদ ডলার, আব্দুস সালাম ভুইয়া, কাজী রফিকুল আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।