স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে অজ্ঞাত রোগের আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে ২জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৪ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস ও মহেশপুর হাসপাতাল থেকে একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৯ মার্চ উপজেলার সামন্তা গ্রামের আবু হোসনের মেয়ে আসমা (২২) অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ মার্চ সকালে মারা যায়। একই ধরনের রোগী সামন্তা নতুন কোলা গ্রামের হাজী নুর ইসলামের ছেলে এনামুল(২৭) ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় মহেশপুর হাসপাতালে আসলে ডাক্তাররা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয়। পরদিন সকালে সে মারা যায়।এ নিয়ে মহেশপুর হাসপাতালে হৈচৈ শুরু হয়ে যায় এবং সাধারন জণগন ডাক্তারদের লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে। যশোর থেকে রিপোর্টে এই রোগকে চিকেন পক্স বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহেশপুর হাসপাতালের ইউএইচএন্ড এফপিও ডাক্তার তাহাজ্জেল হোসেন জানান, তারা রোগটা নির্নয় করতে পারছেন না। তবে চিকেন পক্স জাতীয় এই রোগের লক্ষন হলো হ্যাপিচ জোষ্টার ন্যায় মুখে গ্যাস নালা ও দানা দেখা দেয়। শ্বাস কষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। তারা ১ মার্চ সিভিল সার্জন অফিস জেলা স্যানেটারী ইনস্পক্টর ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ববধায়ক আইইডিসি আর দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায় একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উক্ত টিম সামন্তা এলাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এ পর্যন্ত চিকেন পক্স জাতীয় রোগের ১৪টি রোগী সনাক্ত করেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যে ২জন রোগী মারা গেছে তাদের থেকে এই ১৪টি রোগীর লক্ষন ভিন্ন রকম। তবে ডাক্তার তাহাজ্জেল হোসেন বলেন, আতংক হওয়ার কিছু নেই। রোগ নির্নয়ের জন্য তারা ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত ঢাকা থেকে কোন রিপোর্ট আসেনি। এছাড়া নুতন আর কোন রোগীর সন্ধান মেলেনি।