নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এক পাসপোর্ট যাত্রী নারীকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও রাশেদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাশেদ গ্রুপের বোমা বিস্ফোরন আর পুলিশের মুহুমুহু গুলির শব্দে বেনাপোলের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করেন। আমদানি রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পার্শ¦বর্তী দেশের বিএসএফ সদস্যরা হাতে বন্দুক তুলে নেয় ফায়ারের জন্য।এ সময় গুলবিদ্ধ হয় ৪ জন । ঘটনা স্থল থেকে রাশেদসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত রাশেদ আলী বেনাপোল পৌর সভার কাউন্সিলর এবং বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।সুত্রে জানায়, শুক্রবার সকালে ঢাকার শেওড়া পাড়া এলাকার আসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম ল্যাগেজের মালামাল নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরে। এ সময় চেকপোস্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তার ল্যাগেজের মালামাল অবৈধ হওয়ায় আটক করে কাস্টমস হাউসে জমা দেয়। পরে ঐ নারী ঘটনাটি কাউন্সিলর রাশেদকে জানালে রবিবার বেলা ১২টার সময় সদলবলে রাশেদ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যায়। এ সময় ওই নারীটি ইমিগ্রেশন গেটে থাকা দুই পুলিশকে লক্ষ্য করে বলে এরা আমাকে অপমান করেছে। সাথে সাথে রাশেদের লোকজন সাখাওয়াত ও মেজবাহ নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলকে এলোপাতাড়ী মারধর শুরু করে। এ অবস্থায় ইমিগ্রেশনে থাকা পুলিশ, কাস্টমস ও পাশের বিজিবি সদস্যরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর শ্রমিক নেতা রাশেদ বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নে এসে শতশত শ্রমিকদের নিয়ে আবারো বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হামলা চালায়। কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ভিতরে ঢুকে ইমিগ্রেশনের গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও পুলিশকে মারধর করে। এরই মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানা, শার্শা থানা ও ঝিকরগাছা থানার সকল পুলিশ সদস্যরা এসে টিয়ারসেল ও শতাধীক গুলী চালায়। গুলিবিদ্ধ হয় ৪জন। মুহুর্তের মধ্যে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতবস্থায় আটক করে রাশেদ আলী(৩৫) ও তার সহযোগী ইদ্রিস আলী (৩৪) কে। এ সময় হুকুমের আসামী হিসাবে ল্যাগেজ ব্যবসায়ী নারী শাহিদা বেগম(৩২), তার স্বামী আসলাম হোসেনকে আটক করে। এসাথে বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের আমির হোসেন, তালসারি এলাকার আনসার ড্রাইভারের ছেলে আমিন গাজী, সাদিপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে রাসেল(২৩) ও বড় আঁচড়া গ্রামের রহিমের ছেলে মনিরকে আটক করে পুলিশ।যশোরের এএসপি ভাস্কর সাহা ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেছেন।যশোর এএসপি সার্কেল (ক) ভাস্কর সাহা বলেন, সন্ত্রাসী কর্তৃক পুলিশকে পিটিয়ে আহতের ঘটনা শুনে বেনাপোলে আসি। ঘটনা স্থল থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধাণ রাশেদসহ ৭জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরে মামলা করাহবে।
উল্লেখ্য, এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হতে দেখা গেছে।
বেনাপোল প্রতিনিধি (যশোর)ঃরুবেল