গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুই হাটের কর্তৃত্ব-আধিপত্য নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ। ইজারাদারের নেতৃত্বে কালিবাড়ী হাট রক্ষা সংগ্রাম কমিটি এবং অফিসের হাট রক্ষা সংগ্রাম কমিটি উভয় গ্র“পের মধ্যে টানটান উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা। ইউএনও’র অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল। উপজেলা সদরের কালীবাড়ি বাজার এবং অফিসের হাটে গরু-ছাগল ও অন্যান্য পন্য সামগ্রী উত্তোলন ও বিপননকে কেন্দ্র করে কালিবাড়ী হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব আঃ হালিম সরকার ও অফিসের হাট ইজারাদার গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব। উক্ত দুই হাটের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় গ্র“পের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। ফলে শান্ত পলাশবাড়ী আবারো অশান্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম স্বাধীন ঐতিহাসিক পলাশবাড়ীর স্মৃতি রক্ষার্থে বিগত ১৯২১ সালে পলাশবাড়ী শহরের দক্ষিণাংশে একটি হাট বসানো হয়। হাটটির নাম দেয়া হয় ‘অফিসের হাট’। সপ্তাহের প্রতিদিনই হাট ও বাজার বসে আসছিল। অপরদিকে, সদরের উত্তরাংশে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কালিবাড়ী হাট বসে প্রতি বুধ ও শনিবার। প্রতিবছর দুই হাটই মোটাঅংকের বিনিময়ে ইজারা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ বছরে থানা বিএনপি সভাপতি শাহ আলম সরকার ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেহেদী আসাদ রায়হান তার পিতা আলহাজ্ব আব্দুল হালিম সরকারের নামে ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৫’শ ১ টাকায় কালীবাড়ি বাজারটি ইজারা গ্রহণ করেন। অফিসের হাটটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বিপরীতে ইজারা গ্রহণ করেন উপজেলা যুবলীগ নেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব। এদিকে, একই বার শনি ও বুধবার দুটি হাটই গরু-ছাগল ও অন্যান্য পন্য সমাগ্রি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে শান্ত করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সৃষ্ট দ্বন্দ্বের সুরহা হয়নি বলে জানা গেছে। এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালিবাড়ী হাট রক্ষা কমিটির আহবায়ক উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক মেহেদী আজাদ রাসেল, তারই চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা মেহেদী আসাদ রায়হান ও সদস্য সচিব আরিফ-এর নেতৃত্বে শনিবার বিকেল ৫টায় অবৈধ অফিসের হাট মানি না-মানবো না, পলাশবাড়ীর ইউএনও’র অপসারণ চাই, স্লোগানসহ একটি বিক্ষোভ মিছিল উত্তরবাসস্ট্যান্ড হতে জনতা ব্যাংক মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় মিছিলকারীরা কিছু সময় সড়ক অবরোধ করে। থানা পুলিশের এসআই বলয় চন্দ্রসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এদিকে, সর্বস্তরের সচেতনরা এলাকা ঐতিহাসিক দুটি হাটই পূর্বের ন্যায় যথাস্থানে নিয়মিত বসানোর ব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।