,অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে বাংলাদেশিসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে সে দেশের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এদের মধ্যে ২৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। গত এক মাসে শুধু টেক্সাসেই ধরা পড়েছেন ১২ জন অবৈধ বাংলাদেশি, যাদের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
টেক্সাসের এলপাসো ডিটেনশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে বর্তমানে ৮১ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছেন। এরা সবাই মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে ধরা পড়েন। অভিবাসন বিচারকের আদালতে তাদের ব্যাপারে শুনানি চলছে। এর মধ্যে আটজনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত আদেশ জারি হয়েছে। তবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের পরও পাসপোর্ট না মেলায় বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা আট বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন টেক্সাসের অভিবাসন দপ্তর।
আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং নোয়াখালীর বাসিন্দা রয়েছেন। এদের অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। তবে এ ধরনের আশ্রয় পেতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে না পারলে আবেদন মঞ্জুর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে নিউ ইয়র্কের অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী অশোক কর্মকার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে যারা দেশে ফিরলে সত্যিকার অর্থেই বিপদে পড়তে পারেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
অভিবাসন আদালতে তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপরই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া, না পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। তবে যারা ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন তারা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নিজ নিজ আইনিজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।