,চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ রুবেল হোসেন। ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের কাছে জমা দেয়া তদন্ত কর্মকর্তার দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আজ বুধবার বিচারক তানজিনা ইসমাইল গ্রহণ করলে রুবেল এ অব্যাহতি পান।
তবে রুবেল যে এই মামলা থেক অব্যাহতি পাবেন এটা অনুমান করেছিলেন হ্যাপি আগে থেকেই! কেননা ফেসবুকে গতকাল হ্যাপি লিখেছেন ‘কালকে কোর্ট এ শুনানি। তুহিন ভাই, রায় যেটাই হোক না কেন আমার জন্য দয়া করে একটা আইস ব্যাগ রাইখেন।’ হ্যাপি নিশ্চই নিজের দুর্বলতার জায়গাগুলো খেয়াল করেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। তার আইনজীবীকে উদ্দেশ করে লিখেছিলেন। এছাড়াও আজ হ্যাপি আদালতে যাওয়ার আগেও ফেসবুকে লিখে যান ‘ যাই হোক না কেন ভেঙে পড়া যাবে না। সত্যের জয় একদিন না একদিন ঠিকই হবে’
এদিকে বেলা ১১টা ৪০মিনিটে তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আসামি রুবেলের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। হ্যাপির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন ও অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার।
এর আগে হ্যাপির পক্ষে নারাজি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার। তিনি বলেছিলেন, তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে মামলাটির ঘটনাবলী তদন্ত করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা বাদিকে তার সাক্ষিদের হাজির করার জন্য কোনো নোটিশ দেননি এবং বাদির সাক্ষিদের কোনো বক্তব্য না নিয়েই তিনি এই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, যা বাদি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বিধায় তিনি নারাজি দাখিল করলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেন, যদি মামলা তুলে নেয়ার সুযোগ থাকত, তবে তিনি মামলা তুলে নিতেন। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় এখন থেকে আর মামলায় স্বাক্ষ্য-প্রমাণ দাঁড় করাবেন না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলকে আমি খুব ভালোবাসি। ওর সঙ্গে মামলা করে শত্রুতা করতে চাইনি। শুধু ভালোবাসার অধিকার ফিরে পেতে চেয়েছি। তিনি আরও জানান, শুধু রুবেলকে দেখার জন্য তিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ দেখেছেন। হ্যাপির বিশ্বাস, রুবেল যদি তাকে কোনোদিন সত্যি ভালোবেসে থাকেন, তাহলে একদিন না একদিন আবার তার কাছে ফিরে আসবেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মামলা দায়েরের পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে নায়িকা হ্যাপিকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নবাগত এ নায়িকা কিছু আশা কিছু ভালোবাসা চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
লটারিতে গাড়ি জেতার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুঠের অভিযোগ। আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের ফাঁদে হাওড়ার এক পরিবার। অভিযোগ, বেসরকারি চ্যানেলে অনুষ্ঠানে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে গাড়ি জিতেছে বলে জানতে পারে হাওড়ার এক পরিবার। তারপর বেঙ্গালুরু থেকে লটারিতে জেতা গাড়ি আনা হচ্ছে বলে টোপ দিয়ে ১২ দফায় প্রায় দু লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে বলে প্রতারকরা। শেষপর্যন্ত ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। প্রতারণার পিছনে কোনও আন্তঃরাজ্য চক্র জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ।