চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ সারাদেশে একযোগে গত ১৩ মে প্রথম উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় । মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই শেষে চাঁদপুর জেলার ৩১টি আসনের মধ্যে ২৭টি আসনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ৪টি আসনে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি।এদিকে ২৭টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই রয়েছেন একজন করে প্রার্থী। তাই ১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ১৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এই ১৫ জন উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত সদস্য। বাকি ১২ আসনে ১৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। সে দিন যারা নির্বাচিত হবেন তারাও হবেন উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত সদস্য।উপজেলা পরিষদের বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলাধীন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর জনপ্রতিনিধিগণ পদাধিকার বলে উপজেলা পরিষদের সদস্য। এবার সরকার এদের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদ চালু করেছে। আর এটি হবে ভোটের মাধ্যমে।
জাতীয় সংসদে যেমন কয়েকটি আসন মিলে একটি সংরক্ষিত নারী আসন, অনুরূপ উপজেলা পরিষদেরও কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ মিলে একটি সংরক্ষিত নারী আসন। এর সাথে সশ্লিষ্ট উপজেলাধীন পৌরসভাও থাকবে। এ আলোকে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় ৩১টি সংরক্ষিত নারী আসন নির্ধারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। জলার ৮ উপজেলায় উপজেলাভিত্তিক আসন ও ভোটার সংখ্যা হচ্ছে- চাঁদপুর সদরে আসন পাঁচটি, ভোটার ৪৭ জন, ফরিদগঞ্জে আসন পাঁচটি,ভোটার ৪৮ জন, মতলব উত্তরে আসন পাঁচটি, ভোটার ৪৫ জন, মতলব দক্ষিণে আসন ২টি, ভোটার ২০ জন, হাইমচরে আসন ২টি, ভোটার ১৮ জন, হাজীগঞ্জে আসন চারটি ভোটার ৩৭ জন,শাহরাস্তিতে আসন চারটি ভোটার ৩৩ জন এবং কচুয়ায় আসন ৪টি, ভোটার ৩৯ জন।এই নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন সকল ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার এবং সকল পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলরগণ। এ হিসেবে মোট ভোটার হচ্ছে ২৮৭ জন। প্রার্থীও হতে হবে এ ভোটারদের থেকেই। তবে যে যে আসনের ভোটার তিনি সে আসনেই প্রার্থী হতে পারবেন। আর ভোটাররা এক উপজেলার সব কটি আসনের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ১৩ মে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো ২১ মে, বাছাই ছিলো ২৩ মে।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হচ্ছে ৩০ মে, প্রতীক বরাদ্দ ৩১ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৫ জুন। ভোটগ্রহণের সময় এবং ভোট কেন্দ্র এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ভোট কেন্দ্রের ব্যাপারে পরিপত্রে উল্লেখ করা আছে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের কথা। যদি তা দুর্গম এলাকায় হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে সুবিধাজনক স্থানে কেন্দ্র করা যাবে।মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত জেলার ৩১টি আসনের মধ্যে ২৭টি আসনে ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাদ বাকি চারটি আসনে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি।আসন চারটি হচ্ছে চাঁদপুর সদরের ৪নং আসন এবং মতলব উত্তরের তিনটি আসন। তাই এ চারটি আসনে ১৫ জুন নির্বাচন হচ্ছে না। এ ছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং আসনে ২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাইতে দু জনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় এ আসনটিও আপাতত শূন্য।
বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ১৫ প্রার্থী হচ্ছেন কচুয়া উপজেলার ১নং আসনে মোসাম্মৎ শান্তা ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলার ২নং আসনে জেসমিন আক্তার ও ৫নং আসনে রেনু বেগম, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১নং আসনে রেহেনা আক্তার, ২নং আসনে জেসমিন আক্তার, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং আসনে রাশিদা বেগম, ২নং আসনে জাহেদা বেগম, ৩নং আসনে শাহিদা বেগম ও ৫নং আসনে ফরিদা ইলিয়াছ, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং আসনে দিলরুবা বেগম ও ৫নং আসনে রাবেয়া বেগম, হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং আসনে পারুল আক্তার ও ৩নং আসনে বিবি হাওয়া এবং শাহরাস্তি উপজেলার ১নং আসনে শাহিন আক্তার ও ২নং আসনে মোসাম্মৎ ইয়াছমিন আক্তার।