আসন্ন রমযানে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে একযোগে বাজার মনিটরিং শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে এবার শুধু বাজারের মজুদ কিংবা মূল্য পরিস্থিতি নয়, সে সাথে সব ধরণের ভোগ্য পণ্য আমদানি পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা।
বিগত বছরগুলোতে রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে চাল, ডাল, চিনি, ছোলা এবং ভোজ্য তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দেয়।
এ অবস্থায় সব ধরণের পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। অভিযোগ ওঠে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির চক্রান্তের। তাই চলতি বছর ভোগ্যপণ্যের এ কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আসন্ন রমযান উপলক্ষে যাতে জিনিসপত্রে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং কোনোভাবেই যেন বৃদ্ধি না পায় এবং কিভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশনা আসছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও একটা চিঠি আসছে।’
অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার হোসেন আহমেদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে আমাদের ধারণা। আমদানি পরিস্থিতি যথেষ্ট আছে।’
এদিকে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বাজার মনিটরিংয়ে এ কাজকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনে করেন, সরকারি পর্যায় থেকে মনিটরিং থাকলে সবার মধ্যে সচেতনতাবোধ কাজ করবে।
তবে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলাবাজারে ভোগ্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার সভাপতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জ্যৌতি প্রকাশ দত্ত।
তিনি বলেন, ‘মৌসুম আসার আগেই সরকার যদি আমদানি বাড়িয়ে দেয় বা সরকার যদি নিজে খোলা বাজারে বিক্রিতে যায় তাহলে হয়তো দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। একমাত্র সরবরাহকে প্রভাবিত করা ছাড়া কোনো গতি নেই।’
অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ব্যাপক হারে ভোগ্যপণ্য আমদানির ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।