ধামরাইয়ে ধর্ষণ করতে গিয়ে লিঙ্গ হারালো এক বিএনপির নেতা,এলাকা বাসি বলছে উচিৎশিক্ষা হয়েছে। এই চাঞ্চল্য করঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতি বার রাতে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের আনালিয়াখোলার কদমতলী গ্রামে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানায়, বাইশাকান্দা ইউনিয়নের আনালিয়াখোলার কদমতলী গ্রামের লাভলী আক্তারের স্বামী খোকন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকে। এ সুযোগে একই গ্রামের মজিবর রহমানের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে লাভলী। এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার বিচার সালিসও হয়েছে। মজিবরের সাথে লাভলীর পরকিয়া সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি এলাকার ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ফজলুল হক মাস্টারের ছেলে স্থানীয় বিএনপি নেতা মুক্তি। দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুক্তিও লাভলীর সাথে সম্পর্ক গড়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে বিরক্ত হয়ে কৌশলের আশ্রয় নেয় লাভলী। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুক্তি লাভলীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে এ সুযোগে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা ব্লেড দিয়ে মুক্তির লিঙ্গ কেটে দেয় লাভলী। এ সময় মুক্তির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বতর্মানে মুক্তি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তির ভাই ডাঃ জিয়াউদ্দিন বাদী হয়ে লাভলীকে আসামী না করে তার বাবা লালমিয়া, ভাই দশম শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন, প্রেমিক মজিবর, একই গ্রামের দুই সহোদর রিপন ও সাদির নামে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে লাভলীও মুক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে মুক্তির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার সময় লাভলীর সাথে আমার দেখাও হয়নি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি চক্র আমাকে ওই রাতেই মারপিট করে গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এ ঘটনা জানতে লাভলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বাবা-ভাই অন্যায় করেনি। তবু তাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়েছে। আমকে ধর্ষণ করতে এসেছিল আমিও তার লিঙ্গ কেঁটে দিয়েছি যেন আর কোন অসহায় মেয়েকে আমার মতো ধর্ষণ করতে নাপারে। এবিষয়ে ধামরাই থানার ইর্নচাজ ফিরোজ তালুকদার ঘটনার সত্যতা শ্বিকার করেছেন।