স্বদেশ নিউজ২৪.কম: বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন রেডিও স্টেশন ‘রেডিও স্বদেশ.নেট’ ২০১১ সাল থেকে সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আর রেডিও স্বদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আরজে সাইমুর রহমান সবসময় নতুনদের সুযোগ ও সহযোগিতা করে আসছে। তার হাত ধরে রেডিও জগতে আরজে হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরন করেছে অনেক আরজে যারা বর্তমানে বিভিন্ন এফএম রেডিওতে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নভেম্বরের আরজে হান্ট এ কিছু আরজে দেরকে নির্বাচিত করা হয় এবং কিছু সংখ্যক আরজে কে সুযোগ দেয়া হয়। তার মধ্যেই একজন বর্ষা আহমেদ বৃষ্টি। যাকে কোর্স এর জন্য সিলেক্ট করা হয় এবং সে জানায় পরে এসে কোর্স ফি দিয়ে যাবে। এমন করে সে আরজে কোর্সের ক্লাসও করে। একটা সময়ে তার আর্থিক সমস্যার কথা শুনে রেডিও স্বদেশ এর চেয়ারম্যান আরজে সাইমুর তার থেকে কোন ফি না নিয়ে তাকে স্বদেশে কাজ করার সুযোগ দেন। এবং তাকে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ+ আরজে হিসেবে আইডি কার্ডও করে দেন। প্রথম কিছু দিন বৃষ্টি খুব ডেডিকেশন দেখিয়ে সবার মনে ঢোকার চেষ্টা করে এবং সে তা করেও ফেলে। মার্কেটিং এর কাজের সুবিধার্থে তাকে প্রেস কার্ডও করে দেওয়া হয় সেই সুবাদে সে বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে যায় বিজ্ঞাপনের জন্য। বৃষ্টিকে স্বদেশের আউট ডোর প্রোগ্রামেও নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকেও অনেক গনমাধ্যমকর্মীর সাথে স্বদেশের আরজে, রিপোটার হিসেবে পরিচিত হয়। শুরু হয় তার খেলা। একপর্যায় তাকে স্বদেশের সহকারী কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্ব দিলে সুযোগে সৎ ব্যবহার করে।
আরজে হান্ট ও আরজে কোর্স ফি. বিজ্ঞাপন, এবং আইডি কার্ড এর সিকিউরিটি মানির কথা বলে বিভিন্ন নতুন আরজে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে গোপনে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে। ২০১৫ সালে মার্চ মাস থেকে তার প্রতারনা, জালিয়াতি ধরা পড়তে থাকে। অনেক আরজে ও রিপোর্টার ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে কোর্সের টাকা, আইডি কার্ডের টাকা, অনেককে আবার ডেইডি সান পত্রিকায় চাকুরি দিবে বলে ৫/১০ হাজার টাকা যার কাছ থেকে যত পেরেছে নিয়েছে। টাকা পয়সার কথা স্বদেশের কাউকে জানায় নি। হঠাৎ একদিন স্টুডেন্ট সাইফুর, তানজি, সজিব, ইমন, সোহেল, প্রিন্স ও আসাদসহ আরো অনেকের কাছে জানতে পারি বৃষ্টি সবার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। বৃষ্টি আস্তে আস্তে স্বদেশের অফিসে আসা বন্ধ করে দিলে আসার কথা বলে দেখা করে না। এক পর্যায়ে বৃস্টিকে ভিন্ন পন্থায় স্বদেশের চেয়ারম্যান দেখা করলো স্বদেশের ফটোগ্রাফার প্রিন্সসহ। তার সব অপকর্মের কথা স্বীকার করলো স্বদেশের খিলগাও অফিসে। তার ছবি ও তার জবানবন্দী ও চুক্তিনামায় লিখিত নেয়া হয় আগামী ১ মাসের মধ্যে সবার টাকা আস্তে আস্তে পরিশোধ করবে কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর কোন যোগাযোগ করে না। বরং স্বদেশের ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। উল্লেখ্য যে স্বদেশের মাধ্যমে অনেকের সাথে ওর পরিচয় যারা আরজে সাইমুরের কাছে অভিযোগ করেছেন যাদের কাছ থেকেও বৃষ্টি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে টাকা ধার নিয়েছেন। কখনও এটিএম কার্ড আটকে গেছে, কখনও ধার নেয়। তাকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়। তার সব ঠিকানাই পরিবর্তন করেছে। স্বদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়া পারসনদের পরিচয় হওয়ায় সে তাদের থেকেও সুবিধা নিচ্ছে। সবার প্রতিষ্ঠানেই পারলে মার্কেটিং কাজ করতে চায়। দীর্ঘ ৫-৬ মাসে এক টাকাও বিজ্ঞাপন ও মার্কেটিং থেকে স্বদেশকে দিতে পারেনি বৃষ্টি। তাই সকল সবাইকে বৃষ্টি থেকে সাবধান থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে কোন প্রকার লেনদেন করবেন না। বৃষ্টির কাছে স্বদেশ এর প্যাড ও মানি রিসিভও আছে কারন সে বিভিন্ন সময় এগুলো দিয়ে টাকা সংগ্রহ করেছে। আপনারা প্রতারক বৃষ্টি হতে সাবধান থাকবেন। তার সাথে কোন প্রকার লেনদেন সংক্রান্ত কার্যক্রম এর স্বদেশ পরিবার দায় বহন করবে না। বৃষ্টির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়ার কারনে সবার সুবিধার্থে জানানো হলো। এছাড়াও তার উপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই সবাই সর্তক থাকুন। আর বৃষ্টি স্বদেশের কেউ না তাকে এপ্রিল মাস থেকেই বহি:স্কার করা হয়েছে।