কাজের ফাঁকে আপনি খেয়ালই করেননি। যখন খেয়াল করলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। প্রতারণা নামক চারা গাছটি ডালপালা মেলে অনেক বড় হয়েছে।
অনেক শখে গড়া সম্পর্কটি হয়তো বিসর্জন দিতে হবে অকালে। কেউবা প্রতারণাকে মেনে নিয়েই সম্পর্ককে বয়ে নিয়ে যান।
অথচ প্রতারণার শিকার হওয়ার আগেই যদি বিষয়টি বোঝা যেত, তাহলে জীবনকে ভিন্নভাবে ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাওয়া যেত।
তাই সুন্দর সম্পর্ক ধরে রাখতে কিছু লক্ষণ দেখে সচেতন হোন। যেমন-
১. সঙ্গীর আত্মকেন্দ্রিকতা
আপনার সঙ্গী হঠাৎ করেই খুব বেশি উদাসীন হয়ে গেছে? সে সবসময় অন্যমনস্ক থাকে? চাকরি, ব্যবসা বা পারিবারিক অবস্থা ঠিক থাকা সত্ত্বেও হুটহাট রেগে যায়? সংসারে তার মায়া মোটেও নেই? সে আসলে অন্য কোনো সঙ্গে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তাই আপনাকে তার আগের মতো ভালো লাগছে না। স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না কিন্তু আপনার সঙ্গে তার নিরব প্রতারণা চলছে।
২. ব্যক্তিগত ব্যাপারে কঠোর
হঠাৎ করেই আপনার সঙ্গী ফোনকল, ফেসবুক মেসেজ বিষয়ে বেশ সচেতন হয়ে গেছে। এমনকি ফোন এলে বাসার বাইরে গিয়ে কথা বলে। ফোনে কোনো এসএমএস এলে সে রুমের বাইরে গিয়ে পড়ে। এ ধরনের আচরণগুলো কখনোই হালকাভাবে নেয়া ঠিক হবে না। কারণ সঙ্গী যে আপনার সঙ্গে প্রতারণা করছে এটাই তার প্রমাণ।
৩. সাজগোজে সচেতন
যখনই সে বাইরে যায় নিজের চেহারা বা পোশাক নিয়ে খুব সচেতন থাকে। সুগন্ধির বিষয়েও আগের থেকে অনেক বেশি নজর তার। এ ধরনের আচরণ যদি হঠাৎ করেই হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু সে আগে থেকেই যদি এমনটা থাকে তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৪. শারীরিক সম্পর্কে অনীহা
প্রায়ই আপনার সঙ্গীর বাসায় আসতে দেরি হয় এবং বাসায় ফিরে সবসময়ই সে ক্লান্ত থাকে। শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ নেই। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার সঙ্গী আর আগের মতো নেই। আপনার প্রতি তার কোনো আবেগ কাজ করছে না। আপনি যে প্রতারণার শিকার, এটা বোঝার কী আর কিছু বাকি থাকার কথা নয়।
৫. সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব
আজকাল সঙ্গী কাছে বন্ধুদের গুরুত্ব বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে হুট করেই আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে এবং আপনাকে নিয়ে তার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও নেই। বাসায় বসে আপনার সঙ্গে সময় কাটানোর থেকে সে বই পড়া এবং টিভি দেখায় বেশি মনোযোগী। এই দূরত্বই বলে দেয় আপনার সঙ্গী দূরত্ব বজায় রাখতে চায়।
তাই এধরনের সমস্যায় পড়ার আগে সঙ্গীর আচরণ শুধরানোর চেষ্টা করুন। তার কাছে মূল্যবান হয়ে ওঠার উপায় অবলম্বন করুন। তবেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিনতি ঠেকানো সম্ভব।