গতকালের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। অনেক জায়গা থেকে এখনও সরে যায়নি জমে থাকা পানি। এরই মধ্যে বুধবার সকালে শুরু হয়েছে থেকে থেকে বৃষ্টি। একদিনের বিড়ম্বনা শেষ না হতেই আশঙ্কা আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার। ভরা শরতে কেন এই বৃষ্টি?
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেছেন, ‘মৌসুমের শেষভাগেও বঙ্গোপসাগরে এবং দেশের স্থলভাগে মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। ফলে বৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত। গতকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে বৃষ্টি হচ্ছে তা মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণেই হচ্ছে। তবে বুধবার বিকেলের পর থেকে এ বৃষ্টিপাত কমে যাবে।’
তবে কমে গেলেও এখনই বৃষ্টি শেষ হবে না বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস। তাদের ধারণা, ‘বৃহস্পতিবার রোদের দেখা পাওয়া যাবে।’
মৌসুমী বায়ু প্রবাহের এই সক্রিয়তা আরও কিছুদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে শরতের এই বৃষ্টি
মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার। এর মধ্যে ৪২ মিলিমিটারই হয়েছে দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে, মাত্র দেড় ঘণ্টায়। ওই বৃষ্টিতেই রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাসে বুধবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এই বিভাগগুলোর অন্যত্র মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী এবং দেশের প্রায় সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে আসার আলো হচ্ছে আগামীকাল থেকে রোদ উঠতে পারে আকাশে।
এ ছাড়া মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে সতর্ক করা হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।