সংবাদদাতা আমতলী ।।
বরগুনার আমতলী উপজেলার এক অংশ ও পৌর বিএনপি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় বরগুনা জেলা কমিটিকে সুসংগঠিত না করে দল ধ্বংসের অপতৎপরতা লিপ্ত রয়েছে। এ কারনে জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কমিটি পুনঃগঠনের জোড় দাবী জানান।সংবাদ সম্মেলনে বরগুনা জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা এড.নুরুল ইসলাম শানু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন,গত ২৯ আগষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশিত বরগুনার ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌর কমিটি’র যৌথ সভা জেলা কমিটি আহবান করেন। কেন্দ্রীয় কমিটি চিঠিতে পরিস্কার উল্লেখ করেন জেলার বাসিন্দা জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র কর্মকর্তা, সাবেক সংসদ সদস্য, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিগত সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনিত প্রার্থীদের পরামর্শক্রমে ও নেতা কর্মীদের সমম্বয়ে দলের পুর্নগঠনের কাজ স¤পাদন করবেন। তিনি অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সেই নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাক্সগুলী দেখিয়ে জেলা কমিটি’র সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ও স¤পাদক এস এম নজরুল ইসলামের যোগসাজগে আহুত সভায় উপজেলা ও পৌর কমিটি’র উপস্থিত প্রতিনিধিদের দুপুরের খাবার রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে ওই খাতায় রেজুলেশন করে উপজেলা ও পৌর কমিটি ভেঙ্গে দেয়। গঠন করে বিতর্কিত লোকদের দিয়ে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ও পৌর কমিটি। তারা এ অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি’র যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ শাহজাহান মিয়ার স্বাক্ষরিত গত ৬ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে জেলা কমিটি’র ঘোষিত আহবায়ক কমিটি স্থগিত করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন বর্তমানে স্থগিত ওই কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে যেকোন সময় নেতা কর্মীদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। তারা দাবী করেন বর্তমান জেলা কমিটি বির্তকিত কাজ করে তাদের নৈতিকতা হারিয়েছে। অবিলম্বে জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন জেলা আহবায়ক কমিটি গঠন করে উপজেলা ও পৌর কমিটি পুনঃ গঠন করা হোক। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা কমিটি’র সাধারন স¤পাদক মনিরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক জেলা সহ সাংগঠিনক স¤পাদক মোঃ মশিউর রহমান(মিলন), আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সভাপতি আমতলী পৌর বিএনপি আঃ আজিজ মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারন স¤পাদক কামরুজ্জামান হিরু। বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহাবুবুল আলম ফারুক মোল্লার সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭ বছর বিএনপির যে সব নেতা কর্মীরা মামলা, হামলা ও জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছেন তাদেরকেই আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। এবং যারা আজ ত্যাগী বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করছে তারা কেন্দ্রীয় ঘোষিত কোন কার্যক্রম পালিত তো দুরের কথা উপজেলা বিএনপি কোন মিটিং এ অংশ গ্রহনও করেননি। তাদের কাজ হচ্ছে বিএনপির কমিটি গঠনের সময় দৌড়-ঝাপ দিয়ে কমিটির বড় বড় স্থান দখল করা।