বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা ডালভাংগা ভিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার পরকিয়া প্রেমিকা অন্যের স্ত্রীকে নিয়া পালিয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় ৫ মাসের ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানকে রেখে স্বর্নালঙ্কার ও নগত টাকাসহ পালিয়েছে এ গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী গ্রামে গত ৮ সেপ্টেম্বর। এঘটনায় গৃহবধুর স্বামী বরগুনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমড়াখালী গ্রামের দীপঙ্কর চন্দ্র হাং এর সাথে ৬বছর পুর্বে যুথীকারানী (২৪) এর সাথে হিন্দু রীতি মতে বিবাহ হয়্ । তাদের গর্ভে দীপ নামীয় একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। বিবাহের পর থেকেই একই গ্রামের নগেন পহলানের পুত্র শ্যামল কুমার এর অবৈধ সম্পর্ক শুরু হয়। শ্যামল কুমার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাংগা ভিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরিরচর্চা বিভাগের শিক্ষক।গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুল শিক্ষক শ্যামল কুমার ঐ গৃহবধুকে নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ৮আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন, ৮ আনা ওজনের স্বর্নের ঝুমকা বালা ও নগত ২০হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে। গরীব ঘরের চাদের মত সুন্দরী বউকে দেখে সামলে থাকতে না পেরে অপরের সুন্দরী স্ত্রীকে বাগিয়ে নিয়েছে এ স্কুল শিক্ষক । দীপঙ্করের বোন পুতুল রানী বলেন, আমরা দির্ঘ্যদিন যাবত লক্ষ করছি শ্যামল প্রায়ই ভাবীর সাথে গোপনে দেখা করতো। অনেক সময় টাকা পয়সাও দিত। আমরা গরিব তাই এসব সুযোগ সে কাজে লাগাতো । তবে আমরা ভাবিনাই যে শ্যামল আমার ভাবীকে নিয়া পালিয়ে যাবে। যুথিকারানীর পিতা শংকর চন্দ্র গাইন বলেন, আমার মেয়েকে স্কুল শিক্ষক লম্পট শ্যামল ফুসলিয়ে নিয়া গেছে যাওয়ার আগে বলে গেছে তার সন্তান শ্যামলের জন্মে হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শ্যামল কুমার একজন লম্পট প্রকৃতির লোক সে এর পূর্বে আরো কয়েকবার এই গৃহবধুকে নিয়া পালিয়েছিল বলে জানান এলাকার প্রবিন বৃদ্ধ দীনেশ চন্দ্র হাং ও সুসান্ত চন্দ্র হালদার । স্কুল শিক্ষক শ্যামল কুমার জানান, আমি যুথিকা রানীকে নেইনি।