ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ আল্লাহ পানি কয়ই পাব? এই কি অবস্থা হাসপাতালের। আমার রোগীর জন্য কি একটু পানি পাব না? এত বড় একটি হাসপাতালে যদি পানির অভাব থাকে তাহলে আমরা কোথায় যাব? আর কত দিন পার হলে আমরা একটু শান্তিমত পানি পাব এমনি কাকতি মিনতি ছিলো শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগী ও তাদের স্বজনদের মুখে মুখে। গত রবিবার দুপুর থেকে হাসপাতাল রোগী, রোগীর স্বজন ও কোয়াটারের অবস্থানরত পরিবার গুলো পাচ্ছে না ব্যবহারকৃত পানি। প্রতিটি মানুষই চায় সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতে। হাসপাতালের তিনটি টিউবওয়েলের মধ্যে দুইটি টিউবওয়েলই নষ্ট। এরপর আবার সদর হাসপাতালের মত এত বড় একটি হাসপাতালে রোগী বা কোয়াটারে অবস্থানরত সর্বসাধারনের ব্যবহারকৃত পানির পাম্পটিও যদি ৪৮ঘন্টার অধিক সময় ধরে নষ্ট থাকে তাহলে কি হতে পারে সদর আধুনিক হাসপাতালের অবস্থা। পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কেউ এক মুহূর্ত বেঁচে থাকতে পারে না। চায় বিশুদ্ধ পানি পান করতে। সুস্থ্য বা অসুস্থ প্রতিটি মানুষের জীবনেই দরকার পানি। তাহলে কি জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মসিউর রহমান তার দায়িত্ব পালনে ব্যথর্?। এটাই জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়? বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইনে “শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের বিশুদ্ধ পানির হা হা কার” শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এছাড়া হাসপাতালে তিনটি টিউবওয়েলের মধ্যে দুটিই নষ্ট সংবাদে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের। তার দাবি হাসপাতালের সব গুলো টিউবওয়েলই ভালো। ১শত শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী ও কোয়াটারে বসবাস করা প্রায় হাজার মানুষ ব্যবহার করছে হাসপাতালের ভিতরে থাকা টেংকির পানি। সেই ট্যাংকিতে পানি তোলার পাম্পও যদি দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার অর্ধিক সময় ধরে নষ্ট থাকে? রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে আলাপকালে জানায়, আমরা কোথায় গেলে একটু পানি পাবো আপনারা কি একটু বলতে পারেন? আর কতদিন আমরা পানির অভাবে থাকবো। জেলার বড় কর্মকর্তারা কি করে? ওনারা কি এই হাসপাতালে একদিনও আসে না? তাদের চোখে কি এগুলো ধরা পড়েনা। আমরা কি মানুষ না? আমাদের রোগীদের সুস্থ করার জন্য বা বেঁচে থাকার জন্য কি পানির দরকার নাই? রোগীদের সাথে আলাপ করতে গেলে প্রতিবেদককে তারা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ ব্যপারেও জেলার সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মসিউর রহমান বলেন, এই ব্যপারে উর্ধŸতণ কতৃপক্ষ ফরিদপুরের প্রকৌশল বিভাগের নিকট লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই পানির সমস্যা সমাধান হবে।