বিশেষ প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা ও বিভিন্ন ধরনের মাদক এবং নেশাজাতীয় সিগারেট। উখিয়া- টেকনাফের বর্তমানে এই সব সিগারেট হাট বাজারে সয়লাভ হয়ে উঠেছে। মারাতœক ক্ষতিকারক সিগারেট গুলো। স্থানীয় ও সাধারণ ধুমপায়েরা অসর্তকতার ও উক্ত সিগারেট পাণ করলে শরীরের জন্য ক্যান্সারসহ নানানবিদ মারাতœক রোগে আক্রান্ত হয়। বালুখালী পানবাজার এলাকার নজু মিয়া ৪০ জানান, গত ২ মাস ধরে অত্যন্ত উন্নত মানসম্পন্ন প্যাকেট দেখে ও কমদামে উক্ত পান করা শুরু করে। উক্ত সিগেরেট পান করার ফলে বর্তামানে তার ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই দিকে কুতুপালং এলাকার আব্দু সালামের পুত্র আমির হোসন ৩৬ জানান, বিগত ৩মাস ধরে মিয়ানমার হতে চোরায়পথে আসা এক্স কিং ও এমজি সিগারেট যার প্যাকেটে লিখা আছে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের তৈরী। স্থানীয় অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের মতে উক্ত সিগারেট পান করার পর ক্যান্সার এবং হৃদপিন্ড দূর্বল করে ফেলে। পাশাপাশি এসব সিগারেটের তামাকের সাথে মিশ্রিত করা হয়েছে ইয়াবার বিকল্প একধরণের নেশা জাতীয় ক্যামিক্যাল। স্থানীয় অভিজ্ঞদের মতে উক্ত সিগারেট যাতে পান না করে তার জন্য দ্রুত বিশেষ করে সীমান্তবর্তী উপজেলা উখিয়া- টেকনাফের জনসাধারনের স্বার্থে সচেতনা মূলক প্রচারণা চালানো অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে, না হয় উক্ত সিগারেট ধুমপায়েরা নানন মারাত্মক রোগের মাত্রা বিদ্ধি পেতে পারে। এবং উক্ত সিগারেট যে সমস্ত ধুমপায়ীরা পান করছে তারা দ্রুতই ইয়াবার নেশার জগতে চলে যাওয়ার সম্বভনা রয়েছে বলে মনে করেন। একটি সূত্র দাবি করেছে ইয়াবার পাশাপশি যার বিকল্প হিসাবে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ কক্সবাজার জেলায় এই সিগারেটের কারণে মাদকাশক্তের সংখ্যা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। একদিকে ইয়াবাসহ নানান নেশা, সর্বশেষ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের টার্গেট এসব সিগারেট দিয়ে বাংলাদেশী ধুমপায়ী শ্রেণীর লোকজনকে অচিরে ধংস করে দেওয়ার নীল নকশা। কক্সবাজারের সচেতন মহল এব্যাপারে উখিয়-টেকনাফ সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবির সদস্যদের ইয়াবার পাশাপাশি এসব সিগেরেট অনুপ্রবেশে আরো কঠোর হওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। এই সিগেরেট আসার ফলে একদিকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে সাধারণ ধুমপায়ীরা মারাতœাক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।